কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
তিনি বলেছেন, ২০১৫ সাল থেকে হেল্পলাইন হিসেবে ‘১৮২’ নম্বরটি চালু করেছিল আরপিএফ। কিন্তু ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এটি একেবারেই ‘ম্যানুয়াল’ ছিল। এখন থেকে এর কার্যপদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ভিত্তিক হবে। আরপিএফের ডিজি জানিয়েছেন, অডিও কনফারেন্সিং কলের পাশাপাশিই কেউ উল্লিখিত হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অভিযোগের একটি নম্বর পাবেন। যা ‘ট্র্যাক’ করে অভিযোগকারী অথবা অভিযোগকারিণী তাঁর অভিযোগের সুরাহা আদৌ হল কি না, তার খোঁজ নিতে পারবেন। এমনকী ‘কেস সলভড’ হয়ে যাওয়ার পর তিনি এই মর্মেই আরপিএফের পক্ষ থেকে একটি এসএমএস পাবেন। একইসঙ্গে ট্রেনে বসেই কোনও যাত্রীর যদি অভিযোগ দায়ের করার প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে শুধুমাত্র পিএনআর নম্বর বললেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে আরপিএফ। কোনও কারণে পিএনআর নম্বর বলতে না পারলে ট্রেন, কোচ এবং সিট নম্বর বললেও এনটিইএস (ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়ারি সিস্টেম) পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত ওই যাত্রীর কাছে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা পৌঁছে যাবেন।
এদিন আরপিএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে এই কম্পিউটারভিত্তিক হেল্পলাইন নম্বরের কার্যপদ্ধতি রেলের দিল্লি, জয়পুর, এলাহাবাদ, ভোপাল এবং পুনে ডিভিশনে চালু করা হয়েছিল। তাতে সাফল্য মেলার পরেই তা সর্বত্র লাগু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরপিএফের বারাকগুলিতে জওয়ানেরা কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না, তা জানতে এবার একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবস্থাও কার্যকর করেছে আরপিএফ। আরবিএমএস (আরপিএফ বারাকস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) নামের ওই মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আরপিএফ জওয়ানেরা যেকোনও সময় তাঁদের অভিযোগ বা সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রেলের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ সিনহা বলেছেন, মহিলাদের সুরক্ষার উপরেই সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে আরপিএফ। কর্মকুশলতার নিদর্শনস্বরূপ এদিন আরপিএফের মোট ৬৩ জন কর্মী-আধিকারিককে সম্মানিত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।