কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
তারিক আদিব নামের এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে কাশ্মীরি ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, হেনস্তার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই কাশ্মীরিদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কিছু নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। সেইসঙ্গে, এই নোডাল অফিসারদের নাম ও ফোন নম্বর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করার কথাও বলা হয়েছে। যাতে প্রয়োজনে এই অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা চাইতে পারেন কাশ্মীরিরা।
এদিন দিল্লির পুলিস কমিশনার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি যে ১০টি রাজ্যের ডিজিপি ও মুখ্যসচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও উত্তরাখণ্ড। বিচারপতিদের বেঞ্চের অন্যতম সদস্য সঞ্জীব খান্না বলেছেন, ‘কাশ্মীরি ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর কোনও হামলার খবর পেলেই মুখ্যসচিব, ডিজিপি এবং দিল্লির পুলিস কমিশনারকে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লা। পিডিপি নেত্রী মুফতি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরে কাশ্মীরি পড়ুয়ারা যাতে হেনস্তার শিকার না হন এবং সমাজ যাতে তাঁদের বয়কট না করে সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে আমি স্বস্তি পেয়েছি।’ অন্যদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সেটাই করে দেখাল, যা অনেক আগেই কেন্দ্রের করা উচিত ছিল। এই নির্দেশের জন্য আমি সুপ্রিম কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞ।’