কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
দলবদলু নীতি থেকে যেমন সরছে না বিজেপি, তেমনই ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে বহিরাগত তত্ত্ব প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। এমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। এদিন সুকান্তবাবু বলেছেন, ‘অতীতের নির্বাচনে বহু ভুয়ো ভোটার ভোট দিয়েছেন। কোভিডের কারণে মাস্ক থাকায় ধরা
যায়নি। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এবার যেন প্রত্যেক ভোটারের পরিচয় খতিয়ে দেখা হয়। ভবানীপুরেও বাইরে থেকে লোক ঢোকানো হয়েছে।’
এবারের বিধানসভা ভোটে ২০০টিরও বেশি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসার দাবি করলেও বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গে তিন অঙ্কেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। এহেন নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরেই বিজেপির অনেক নেতা-কর্মী দলত্যাগ করে পুরনো দলে ফিরে গিয়েছেন। বিজেপি ত্যাগ করেছেন দলের বেশ কয়েকজন বিধায়কও। আর এটাই চিন্তায় রেখেছে বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও। মঙ্গলবার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সুকান্তবাবু। বিজেপির শীর্ষ সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সভাপতির কাছে জে পি নাড্ডা স্পষ্ট জানতে চেয়েছেন, এভাবে দলত্যাগ হচ্ছে কেন? রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বঙ্গ ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পর দলের অন্দরে এমন তত্ত্বও উঠে এসেছিল যে, বিধানসভা নির্বাচনে আদি নেতা-কর্মীদের তুলনায় দলবদলুদের উপর বেশি ভরসা করার ফল ভুগতে হয়েছে বিজেপিকে। এ নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যাঁরা ভিন দল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন, মূলত তাঁদের জন্যই বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি এমন কোনও দলীয় তত্ত্বের কথা আমার জানা নেই।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে পরিবর্তনের পর স্বাভাবিকভাবেই আমূল বদলে যেতে চলেছে দলের রাজ্য কমিটিও। এই নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির ম্যারাথন বৈঠক হয়। কবে নাগাদ দলের নতুন রাজ্য কমিটির ঘোষণা হতে পারে? সুকান্তবাবু বলেন, ‘দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।’ তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নতুন রাজ্য কমিটিতে নতুন এবং পুরনো সব মুখই স্থান পাবে। রাজ্য সভাপতি নিজে যেহেতু উত্তরবঙ্গের সাংসদ, তাই নতুন কমিটিতে উত্তরবঙ্গই প্রাধান্য পাবে কি? সুকান্তবাবু বলেন, ‘আমি বিজেপির উত্তরবঙ্গ সভাপতি নই। পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি।’ কাল, শুক্রবার কলকাতায় দলের নতুন রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি।