কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২ লক্ষ ৬ হাজার ৫২২ জন ভোটারের উপর বর্তেছে ‘ঘরের মেয়ে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী রাখার দায়িত্ব। ভবানীপুরের মেয়ের বিরুদ্ধে বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালির ‘হেরো’ প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে লড়াইয়ে নামিয়েছে। জামানত বাঁচাতে লড়াইয়ে আছেন সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাসও। হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বীরা একে অপরকে নিয়ে যতটা চিন্তিত, তার চেয়েও বেশি উদ্বিগ্ন ‘আবহাওয়া’ নিয়ে। তবে আশার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। বুধবার বিকেলে নিম্নচাপ কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে গিয়েছে। ফলে আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বর্ষণ হলেও কলকাতায় ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্ত দু’-এক পশলা হতে পারে। তা অবশ্য ভোটগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবেন না বলেই মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর।
অন্যদিকে সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে বিজেপি, সিপিএম অথবা আরএসপি লড়াইয়ে থাকলেও এই ভোট শাসক তৃণমূলের কাছে বিধায়ক সংখ্যা বাড়ানোর পরীক্ষা মাত্র। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নির্বাচন—চিরাচরিত এই রীতিতেও এবার ৩২৯টি বুথের সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে ১৮ এবং ৩৬৩টি বুথের জঙ্গিপুর কেন্দ্রে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। ভবানীপুর নিয়ে নজিরবিহীন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। শুধুমাত্র এই কেন্দ্রের জন্যই ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে। প্রথমে ১৫ কোম্পানি মোতায়েনের কথা ঘোষণা করা হলেও, শেষপর্বে আরও ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর অভূতপূর্ব ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভবানীপুরের ২৮৭টি বুথের প্রতিটিই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা এবং সিসিটিভির নজরদারিতে। এখানকার সব বুথে থাকছে মাইক্রো অবজার্ভার এবং ওয়েবকাস্টিং ব্যবস্থা।
বঙ্গোপসাগর এবং তার থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপের জেরে নাগাড়ে বৃষ্টি কপালে ভাঁজ ফেলেছিল ভবানীপুরের সব ভোট প্রার্থী, প্রশাসন, পুরসভা এবং নির্বাচন কমিশনের। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি জলবন্দি করেছে ভবানীপুরের বিস্তীর্ণ অংশকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দ্রুত জল নামানোর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করে রাতের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে কলকাতা পুরসভা। তবে বৃষ্টির জমা জলের কারণে ভবানীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত ৫২/সি, বেণীনন্দন স্ট্রিটের গোপালবন্ধু বিদ্যালয়ের ১২৩ নম্বর বুথটিকে পাশে পুলিস অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের দোতলায় সরাতে হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বিস্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন ও কলকাতা পুরসভা। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইভিএম মেশিনগুলি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ব্যাগে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ভোটকর্মীকে দেওয়া হয়েছে রেইন কোট। বুথে ভোটারদের জন্য থাকছে রেইন শেডের ব্যবস্থা। জল জমে, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের এমন আটটি পকেটকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ২৫টি পোর্টেবল পাম্প রাখা হয়েছে এই কেন্দ্রের জন্য। সবচেয়ে বেশি জল জমে যে ওয়ার্ডে, ভবানীপুরের অন্তর্গত সেই ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোমিনপুর, একবালপুর ও খিদিরপুরে বাড়তি পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে রবারের নৌকাও।