উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
শীতলকুচির সেই ঘটনায় অভিযুক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এখনও হাজিরা দেননি। ফলে কোন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তাঁরা গুলি চালিয়েছেন, তা বুঝতে পারছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। তবে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অফিসাররা জেনেছেন, নিজেদের অস্তিত্ব বোঝাতেই তাঁরা গুলি চালিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোচবিহারের প্রাক্তন এসপি’র বয়ানে কোথায় ফাঁক থাকছে কি না, তা জানার জন্যই দেবাশিস ধরকে ডেকে পাঠানো হয়। সেইমতো তিনি এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ভবানীভবনে হাজির হন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কখন গুলি চালার খবর জানতে পারেন? কে বা কারা জানিয়েছিলেন সেই খবর? ওই বুথে গোলমালের কোনও খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল কি না? গুলিচালনার ঘটনা জানার পর তিনি কী করলেন? ঘটনাস্থলে কি গিয়েছিলেন? গুলি চালানোর আগে তাঁর কাছ থেকে অর্ডার নেওয়া হয়েছিল কি না? এমনই একাধিক প্রশ্ন উঠে আসে জিজ্ঞাসাবাদের সময়। সূত্রের খবর, কোচবিহারের প্রাক্তন এসপি জানিয়েছেন, সেখানে গোলমালের খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যান। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিসের ফোর্সও। তাঁকে জানানো হয়েছিল ফোর্সকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এরপর গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনার পর কী পরিস্থিতিতে গুলি চলেছিল, তা জানতে তিনি সেখানে কর্তব্যরত অফিসারদের থেকে খোঁজ নেন। কথা বলেন স্থানীয় থানার আইসি’র সঙ্গে। পরে নিজেও ঘটনাস্থলে যান বলে জানিয়েছেন। তবে গুলি চালানোর কোনও অর্ডার তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়নি বলে প্রাক্তন এসপি দাবি করেছেন। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সেখানে উপস্থিত থাকা রাজ্য পুলিসের অফিসার ও নিচুতলার কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে দেবাশিসবাবুর বক্তব্যে ফাঁক রয়েছে কি না, তা মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। যদি কারও বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টকে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।