উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কার্যত ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর’ হয়ে উঠেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর হাঁটাচলা, কথার স্টাইল থেকে পোশাক, সবই বিজেপি কর্মীরা অনুকরণ করতেন। তাতে মোদি কোর্ট থেকে মোদি ক্যাপ সবেরই বাজার তুঙ্গে ওঠে। এমনকী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাড়ির পাশাপাশি মাস্কের বদলে নাক-মুখ আবৃত করে রাখা ডিজাইনার গামছাও নজর কাড়ে। তারপরই ‘মোদি গামছা’র বাজার ধরতে মাঠে নামে অনলাইন শপিং সংস্থাগুলি। ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা দামের মোদি গামছা প্রথম বাজারে আসে। কিন্তু সেই গামছায় ৮৫ শতাংশ ছাড় দিয়েও মিলছে না তেমন অর্ডার।
বাংলার নির্বাচন পর্বে গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানো স্ট্যান্ডের ছড়াছড়ি ছিল। এমনকী রাষ্ট্রপ্রধানদের আদলে গাড়ির বনেটে বিজেপির পতাকা সাঁটিয়ে ঘোরাফেরা করতেন পদ্মশিবিরের বহু নেতা। অনলাইনেও ব্যাপক বিক্রি হয়েছিল সেই পতাকা লাগানো স্ট্যান্ড। কিন্তু বাংলার ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে তার বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে। তাই বিপুল ছাড়। তবুও তেমন সাড়া মিলছে না। শুধু বাংলা নয়, দেশজুড়ে একই অবস্থা।
একসময় পদ্ম ফুল আঁকা উত্তরীয় পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বর্তমানে সেইসব উত্তরীয় বিপুল ছাড় দিয়েও বিক্রি হচ্ছে না। ছাতিতে পদ্ম ফুল আঁকা বিজেপি টি-শার্ট বাজার গরম করে দিয়েছিল। এখন সেই টি-শার্টের ডিজাইন আপডেট করেও ক্রেতা নেই। বিজেপির প্রচার সামগ্রীর এমন নিম্নমুখী ট্রেন্ড গেরুয়া শিবিরের চিন্তা বাড়াচ্ছে।
দরজায় কড়া নাড়ছে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। অথচ বিজেপির পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথের ছবি, দলীয় পতাকার চাহিদা নেই। ২০১৪ সাল থেকেই দেশের রাজনীতিতে প্রচারে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছিল বিজেপি। ভারতীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ব্যবহারে তারা চমক দিয়েছিল। কিন্তু, তা এখন অতীত।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি কো-অর্ডিনেটর শিবরাম বর্মন বলেন, দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি চলছে। তাই হয়তো জিনিসগুলির চাহিদা কমেছে। তা দিয়ে বিজেপির সমর্থন কমছে, এমনটা কিছুতেই বলা যায় না।