কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফে চলতি তথা ষোড়শ বিধানসভা পর্বে বিভিন্ন জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে একের পর এক চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সংখ্যার হিসেবে মমতাকে দেওয়া চিঠির সংখ্যা অবশ্য মোদির তুলনায় অনেক বেশি। এগুলির মধ্যে বাছাই করা ৫৪টি চিঠির একটি সংকলন এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন পূর্বতন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্তবাবু। সেই অনুষ্ঠানে মান্নানের সঙ্গে হাজির ছিলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। সূর্যবাবুর আমল থেকেই বাম পরিষদীয় দলের তরফে এই ধরনের চিঠির সংকলন বই আকারে প্রকাশ করার প্রথা চালু হয়। জোট ধর্ম পালনের স্বার্থে এবারই প্রথম কংগ্রেস পরিদীয় দলের সঙ্গে যৌথভাবে দেওয়া বেশ কিছু চিঠিও ঠাঁই পেয়েছে ‘জবাব দিন জনতাকে’ শীর্ষক এই সংকলনে।
বই প্রকাশের এই অনুষ্ঠানই এদিন হয়ে ওঠে বাম-কংগ্রেসের জোটের বার্তা দেওয়ার মঞ্চ। সূর্যকান্ত, মান্নান, সুজন—সকলেই তাই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি’র পাশাপাশি বাংলার তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন প্রত্যাশিতভাবেই। তাঁরা সকলেই বলেন, দিল্লিতে এবার সাংসদদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে মোদি সরকার। কৃষি বিলের উপর ডিভিশন চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বিরোধী এমপি’রা। একইভাবে রাজ্যেও বিধানসভায় বিরোধীদের কোনও অধিকার নেই সরকারের দোষ-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করার। অনাস্থা থেকে মুলতুবি—বিরোধীদের আনা কোনও প্রস্তাব নিয়েই আলোচনার অনুমতি মেলেনি তৃণমূল জমানায়। এমনকী, দপ্তরওয়ারি প্রশ্নের জবাবও পান না বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন হেভিওয়েট মন্ত্রীদের হাতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের বাজেট বারবার গিলোটিনে পাঠানো হয়। অধ্যক্ষের কাছে নালিশ জানিয়েও সুরাহা মেলে না। এই অবস্থায় জনস্বার্থবাহী ইস্যুগুলি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীকে গুচ্ছ গুচ্ছ চিঠি দিতে হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সে সব চিঠির কোনও উত্তর মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে জনতার আদালতে এগুলি নিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নিতে হয়েছে এই সংকলন প্রকাশের মাধ্যমে।