কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
রাজ্য সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে রোজ পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা করে বাড়ছে। পাশাপাশি পেঁয়াজের জোগানও কমেছে। ট্রাক ধর্মঘটের কারণে জোগান কিছুটা কম থাকার কথা ব্যবসায়ী মহল থেকে বলে হচ্ছে। তবে মহারাষ্ট্র থেকে কিছুদিন ধরে পেঁয়াজ কিছুটা কম আসছে। সেখানেও দাম বেড়েছে।
রাজ্যের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহের বেশিরভাগটা আসছে মহারাষ্ট্রর নাসিক এলাকা থেকে। দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক-অন্ধ্রে বৃষ্টির জন্য পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার জেরে সেখানকার সরবরাহ কমেছে। অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্রে কিছু পরিমাণে নতুন পেঁয়াজ ওঠে। সেখানেও অতিরিক্ত বৃষ্টির কোনও প্রভাব পড়ে কি না, তার উপর আগামী দিনের বাজার দর নির্ভর করছে বলে ব্যবসায়ী মহল মনে করছে। রাজ্যে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে সেই মার্চ মাস। ফলে এখন ভিন রাজ্যের উপরই নির্ভর করে থাকতে হবে।
তবে আলুর দাম অনেকটা স্থিতিশীল আছে। হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর জ্যোতি আলুর দাম এখন ২৬-২৭ টাকার মধ্যে রয়েছে। আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে কলকাতার খুচরো বাজারে ৩২ টাকার মধ্যে জ্যোতি আলু বিক্রি হওয়া উচিত। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আলুর দাম পুজোর সময় বাড়ার আশঙ্কা নেই বলে তাঁরা মনে করছেন। এখনও রাজ্যের হিমঘরগুলিতে প্রায় ২০ লক্ষ টনের মতো আলু মজুত রয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বাজারের চাহিদা মেটানোর পক্ষে এটা যথেষ্ট। কিছুদিনের মধ্যে রাঁচি থেকে নতুন আলু বাজারে আসতে শুরু করবে। আবহাওয়া প্রতিকূল না হলে, উত্তর ভারতের নতুন আলু এবার কিছুটা আগেই নভেম্বর মাসে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।