কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
এদিন হাইকোর্টের এই রায়কে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি পশ্চিমবঙ্গ নাগরিক সমাজ দু’হাত তুলে স্বাগত জানিয়েছে। দ্রুত ডাকা এক সাংবাদিক বৈঠকে চিকিৎসক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের অন্যতম নেতা তথা প্রাক্তন শেরিফ ডাঃ দুলাল বসু ও ডাঃ হীরালাল কোনার, বিশিষ্ট সার্জেন ডাঃ কুণাল সরকার, সমাজকর্মী নব দত্ত ও শাশ্বতী সেনের মতো ব্যক্তিরা নাগরিক সমাজের হয়ে এই মনোভাব ব্যক্ত করেন খোলাখুলি। তাঁদের মতে, বারোয়ারি পুজোগুলিকে গোড়া থেকে সরকারি তরফে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছিল এবার। আর্থিক সাহায্য থেকে আরম্ভ করে নানা ধরনের সুবিধার কথা ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষে। কিন্তু যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে মানুষকে পুজোর আনন্দ উপভোগ করার জন্য এভাবে পথে নামতে উৎসাহ দিলে, উৎসবের পরে করোনা সুনামি আসবে রাজ্যে। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পরিকাঠামো বা লোকবল নেই আমাদের। এনিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়ে এবং মৌখিকভাবে সতর্ক করা সত্ত্বেও তা আমল পায়নি। শেষ পর্যন্ত জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে কার্যত বাধ্য হতে হয়েছে। আমরা চাই, আদালতের এই নির্দেশ প্রশাসন বাস্তবায়িত করুক পুরোপুরি। মানুষকে বাঁচাতে এটা করা এখন অনেক বেশি জরুরি।
হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সিপিএম। দলের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ও সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, রাজ্যের পক্ষে এটা দুর্ভাগ্যের যে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আজ পুজো নিয়ে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হল। আমরা গোড়া থেকেই বলছি, মানুষ অন্তরের ভক্তি থেকে পুজো করুক। কিন্তু রাজনৈতিক ফয়দা তোলার লক্ষ্যে বারোয়ারি পুজো নিয়ে সরকারপক্ষ এবার বাড়তি উৎসাহ দিতে শুরু করে। মানুষ যাতে সংক্রমণের বেড়াজালে পড়ে কার্যত সেই বন্দোবস্তই করেছিল সরকার। ঈদ, ওনাম বা গনেশ চতুর্থী নিয়ে কিন্তু হাইকোর্টকে কোথাও এভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, আদালতের রায় দুঃখজনক হলেও, বাস্তবের খাতিরে তা সকলকেই মানতে হবে। যেভাবে সরকারের অপদার্থতার জন্য দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এই ধরনের পদক্ষেপ ছাড়া আর কোনও উপায়ও সম্ভবত ছিল না। আমরা সকলের কাছে সচেতনতার পরিচয় দিয়ে এই নির্দেশের মান্যতা দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা সাংসদ সৌগত রায় অবশ্য বিরোধীদের মতো সরাসরি হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাননি। তিনি বরং বলেন, এই রায়ে আমি দুঃখিত। কারণ, প্রস্তুতি চূড়ান্ত হওয়ার পর একেবারে শেষ মুহূর্তে এই রায় আসায় পুজো উদ্যোক্তারা ধাক্কা খাবে। তবে আদালতের এই রায়ের মান্যতা দেওয়ার প্রাথমিক দায় উদ্যোক্তাদেরই, প্রশাসনের নয়।