পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই লকডাউন ভেঙে জনতার একাংশ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করেছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই বাইক বা স্কুটার নিয়ে নিয়ম ভাঙতে দেখা গিয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বেরোচ্ছেন কি না, তার উপর নজরদারি চালাতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় চলছে নাকা চেকিং। গাড়ি থামিয়ে প্রয়োজন জিজ্ঞাসা করছেন পুলিসকর্মীরা। সন্তোষজনক উত্তর মিললে তবেই যাওয়ার অনুমতি মিলছে। তা পাওয়ার জন্য দু’চাকার চালকদের অনেকেই পুলিসকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কোথাও ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে, আবার কোথাও ওষুধ কেনার নাম করে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে। তবে নাকা চেকিং এতটাই কড়া ছিল যে, এক বা দুটি ধাপে তল্লাশিতে পার পেয়ে গেলেও, পরের ধাপে আটকে গিয়েছেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেড়াতে বেরোনো মানুষজন। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের বাড়িতে পাঠিয়েছে পুলিস।
এই চিত্র যেমন ধরা পড়েছে, তেমনই জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে, সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন বলার সুযোগ না দিয়েই লাঠিপেটা করছে পুলিস। অধিকাংশ জায়গাতেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ এসেছে। লাঠি হাতে তাঁদের দাপাতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। কোথাও কোথাও পুলিস কনস্টেবলরা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বেরোনো মানুষজনকে লাঠি দিয়ে মেরেছেন বলেও দাবি করেছেন অনেকেই। যাঁরা নিয়ম ভাঙছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় কেস না করে কেন মারধর করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এই বিষয়ে রাজ্য পুলিসের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা জেলার পুলিস সুপার বা কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলছেন। যাতে কোনওভাবে জরুরি প্রয়োজনে বা প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বেরনো মানুষজনকে হেনস্তা না করা হয়।
এদিকে লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষ যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পান এবং এই সমস্ত সামগ্রী আসার ক্ষেত্রে যাতে কোনও বাধার সৃষ্টি না হয়, তা নিয়ে এদিন রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র সমস্ত জেলার পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠক করেন। এসপি ও কমিশনারদের ডিজি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, লকডাউন নিয়ে সরকারের গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। বাজার দোকান যাতে খোলা থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বাজার বা দোকানের সামনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সাধারণ মানুষ যাতে জিনিসপত্র কেনেন, তা দেখা দরকার। সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে সমস্তরকমভাবে সহযোগিতা করতে হবে। একইসঙ্গে ডিজি জানান, ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িতদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়েও নজর দিতে হবে।