পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত দেশগুলির মধ্যে অর্থনীতির দিক তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। কিন্তু চীনের গণ্ডি পেরিয়ে মারণ করোনা থাবা বসানোয় বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে গোটা দেশ। প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন আয়েও। গত বৃহস্পতিবার থেকে ইতালির পিছিয়ে থাকা প্রদেশ সিসিলিতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। লা রিপাবলিক ডেইলি নামে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একদল স্থানীয় লোক লারমোর একটি সুপারমার্কেটে জোর করে ঢুকে পড়েন। ক্যাশিয়ারের কাছে গিয়ে একজন উত্তেজিতভাবে বলে ওঠেন, আমাদের কাছে টাকা নেই। কিন্তু খেতে না পেলে পরিবারকে নিয়ে তিলে তিলে মরে যেতে হবে। সিসিলির অন্যান্য শহরের ছোট দোকানিরাও ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। লকডাউনের মধ্যেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান অব্যাহত রাখতে তাঁদের দোকান খোলা রাখতে অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, অনেকেই এসে বিনামূল্যে খাওয়ার জিনিস দেওয়ার জন্য জোরজুলুম করছে। ফলে দোকান খোলা রাখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে গোটা অঞ্চলে হাহাকার পড়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক নির্দেশে কেউই ঘর থেকে বেরতে পারছেন না। যতটুকু খাওয়ার-দাওয়ার মজুত করা ছিল, তাও অনেকের শেষ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সরকারি ত্রাণের আশায় দিন কাটাচ্ছে হাজার হাজার শহরবাসী। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইতালির মন্ত্রী গুইসেপ প্রভেনজেনো। সুপারমার্কেটে লুটপাটের বিষয়টি নজর এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর প্রতিক্রিয়া, দোকান-বাজারে লুটপাট চালিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না।