পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
সূর্যবাবু বলেন, এখন দলবাজির সময় নয়। রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক কাজ করার জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু আগে দরকার মানুষের প্রাণ বাঁচানো। এজন্য সর্বাগ্রে দরকার রাজ্যের সর্বত্র নজরদারি। নজরদারির মাধ্যমে করোনা আক্রান্তকে চিহ্নিতকরণ করা অত্যন্ত জরুরি এখন। এজন্য সরকার যে সব জায়গায় পৌঁছতে পারছে না, সেখানে আমরা সাধ্যমতো সেই কাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি এই সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ ও পৌঁছে দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রসঙ্গত, এদিন দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে আলিমুদ্দিনে বৈঠক করেন সূর্যবাবু। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন জেলা পার্টিকে এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে খবরাখবর নিতে হবে। কারও কোনও অসুস্থতা রয়েছে কি না, তা জানতে হবে এবং প্রয়োজনমতো প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
দেশ জুড়ে করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউনের কারণে সাধারণ ও খেটেখাওয়া মানুষের রোজগার নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। তবে সেই প্যাকেজকে প্রয়োজনের তুলনায় মোটেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এদিন এব্যাপারে বিবৃতিও দিয়েছেন। সূর্যবাবুও এদিন বলেন, আমরা যে ১১ দফা দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রেখেছিলাম, তার তুলনায় এই প্যাকেজ যথেষ্ট নয়। তাছাড়া মাস্ক, স্যানিটাইজার, কিট ইত্যাদির বিষয়ে সরকার কিছুই ঘোষণা করেনি। এসবের চরম অভাব দেখা দিয়েছে সর্বত্র। কেন্দ্রের ঘোষিত প্যাকেজ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসও আদৌ খুশি নয়। তারা মনে করছে, পূর্ব ঘোষিত প্রকল্প মোতাবেক প্রথম কিস্তি বাবদ দু’হাজার টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এটা মোটেও বাড়তি কোনও সাহায্য নয়। তাছাড়া বাংলায় কৃষকদের ফসল বিমা সহ নানা ধরনের কল্যাণমূলক প্রকল্প আগেই চালু রয়েছে।