পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
দপ্তরের এক শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, রাজ্যেই যাতে করোনার কিট তৈরি করা যায়, সেজন্য কথাবার্তা চলছে একটি সংস্থার সঙ্গে। অন্যদিকে, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে যাতে ভিটিএম বা করোনার নমুনা নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম তৈরি করা যায়, তার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, রাজ্যকে করোনার কিট সরবরাহ করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের চিকিৎসা গবেষণার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। তাদের মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় আঞ্চলিক ভাইরাস পরীক্ষাকেন্দ্র নাইসেড এই কিট পায়। পিজি হাসপাতালের কাছেও একইভাবে কিট আসে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে কিট সরবরাহ অনিয়মিত।
বর্তমানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অতি সঙ্কটজনক না হলেও এই ভাইরাস যেভাবে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে, তাতে হাতে পরীক্ষার কিট এবং মিডিয়াম দুটিই পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখতে চাইছে রাজ্য। নাহলে হঠাৎ করে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের ভিড় বাড়তে শুরু করলে কপাল চাপড়ানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকবে না।
বর্তমানে রাজ্যের কাছে করোনা পরীক্ষার কিট এবং ভিটিএম দুটিরই অভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাহলে কী করণীয়? এসটিএম-এর অধিকর্তা ডাঃ প্রতীপ কুণ্ডু বলেন, আমরা ভিটিএম-এর ব্যবস্থা মোটামুটি করে ফেলেছি। আজ শুক্রবার তা চলে আসার কথা। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সূত্রের খবর, কিটও শীঘ্রই চলে আসার কথা।
বিষয়টি যখন করোনার মতো মারণ মহামারী নিয়ে, তখন ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা কাটাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। হু, কেন্দ্র উভয়েই করোনা মোকাবিলায় আরও বেশি করে উপসর্গ থাকা রোগীদের পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছে। নাইসেড নির্ভরতা কাটাতে সেজন্য মমতা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ—এই দুই জায়গাতেই দ্রুত পরীক্ষা চালু করাতে চাইছেন।