কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে সম্পূর্ণ দায়ী করে বাংলায় পথে নামল সিপিএম। গোষ্ঠী সংঘর্ষে দু’ডজন মানুষের মৃত্যু এবং শতাধিক নিরীহ’র জখম হওয়ার জন্য তারা সরাসরি আঙুল তুলল প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে। আসন্ন পুরভোটের কথা মাথায় রেখে দিল্লির এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার মডেলেই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। রাজধানীতেও গুজরাতের মতো পুলিসকে নিষ্ক্রিয় রেখে গেরুয়া বাহিনীকে তাণ্ডব চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে তারা তোপ দেগেছে। কেন্দ্রের সরকারকে নিশানা করার ক্ষেত্রে তারা মোক্ষম হাতিয়ার করেছে এদিন সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টের তীক্ষ্ণ সমালোচনা ও আদেশকে। তবে একই সঙ্গে রাজ্যে সব রকমের প্ররোচনাকে দূরে ঠেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখারও আহ্বান জানিয়েছে মার্কসবাদী দলের নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, সিপিএমের মতোই দিল্লিকাণ্ডের ইস্যুতে আগামীকাল, শুক্রবার শহরের পথে নামছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে ওইদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতায় জেলা সিপিএমের ডাকে এন্টালি মার্কেট থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল হয়। একই সময়ে অন্যান্য জেলাসদর ও মহকুমা সদরেও দলের তরফে প্রতিবাদ মিছিল বেরয়। কলকাতার মিছিলে পা মেলান বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর মতো শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বিমানবাবু-সুজনবাবুরা এদিন বলেন, গুজরাতের দাঙ্গার সময় পুলিসকে গোড়ায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও সময়মতো সেনা নামানো হয়নি। তার সুযোগে আরএসএস-গেরুয়া বাহিনী শত শত নিরীহ সংখ্যালঘুকে খুন করেছে। গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে দেশের ক্ষমতার মূল চালিকাশক্তি। একজন হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, অন্যজন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই একই মডেলে দিল্লিতে হাঙ্গামা চালানো হয়েছে।
সুজনবাবু এদিন এই প্রসঙ্গে এক হাত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। দিন কয়েক ধরে রাজধানী অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পিছনে গেরুয়া বাহিনীর স্পষ্ট হাত থাকার কথা গোটা দেশের মানুষ জানলেও এখনও পর্যন্ত মমতা এব্যাপারে আরএসএস-বিজেপি’র বিরুদ্ধে মুখ না খোলায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করেছেন সুজনবাবু। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও বিষয়েই কথায় কথায় টুইট করেন। মুখ খোলেন। কিন্তু এখন কেন বিজেপি-আরএসএস নিয়ে কোনও রা কাড়ছেন না তিনি? আমরা নিশ্চিত, শুক্রবার ভুবনেশ্বরে অমিত শাহ’র সঙ্গে দেখা হলেও তাঁকে এনিয়ে কথা বলার সাহস দেখাতে পারবেন না।
বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতায় জেলা সিপিএমের ডাকে এন্টালি মার্কেট থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল হয়। একই সময়ে অন্যান্য জেলাসদর ও মহকুমা সদরেও দলের তরফে প্রতিবাদ মিছিল বেরয়। কলকাতার মিছিলে পা মেলান বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর মতো শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বিমানবাবু-সুজনবাবুরা এদিন বলেন, গুজরাতের দাঙ্গার সময় পুলিসকে গোড়ায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও সময়মতো সেনা নামানো হয়নি। তার সুযোগে আরএসএস-গেরুয়া বাহিনী শত শত নিরীহ সংখ্যালঘুকে খুন করেছে। গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে দেশের ক্ষমতার মূল চালিকাশক্তি। একজন হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, অন্যজন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই একই মডেলে দিল্লিতে হাঙ্গামা চালানো হয়েছে।
সুজনবাবু এদিন এই প্রসঙ্গে এক হাত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। দিন কয়েক ধরে রাজধানী অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পিছনে গেরুয়া বাহিনীর স্পষ্ট হাত থাকার কথা গোটা দেশের মানুষ জানলেও এখনও পর্যন্ত মমতা এব্যাপারে আরএসএস-বিজেপি’র বিরুদ্ধে মুখ না খোলায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করেছেন সুজনবাবু। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও বিষয়েই কথায় কথায় টুইট করেন। মুখ খোলেন। কিন্তু এখন কেন বিজেপি-আরএসএস নিয়ে কোনও রা কাড়ছেন না তিনি? আমরা নিশ্চিত, শুক্রবার ভুবনেশ্বরে অমিত শাহ’র সঙ্গে দেখা হলেও তাঁকে এনিয়ে কথা বলার সাহস দেখাতে পারবেন না।
