কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
খাগড়াগড়কাণ্ডের পর এরাজ্যে জেএমবির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই ধরা পড়ে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে ধরা পড়েছে সংগঠনের একাধিক সদস্য। মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলা স্লিপার সেলগুলিও ভেঙে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভেঙে পড়া সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে জেএমবির শীর্ষ নেতারা। এই কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে সালাউদ্দিন ওরফে সালেহান। এই জঙ্গি নেতা এখনও বেপাত্তা। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, খাগড়াগড়কাণ্ডের পর কয়েক বছর সে পালিয়ে বেড়ালেও আবার এরাজ্যে আসছে। পুরনো জেহাদিদের সক্রিয় করার কাজও শুরু করেছে। সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন জেলায় করেছে একাধিক বৈঠক। সূত্রের খবর, পুরনো নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন সদস্য নিয়োগ করার জন্য।
এতদিন পর্যন্ত গোয়েন্দারা জানতে পারছিলেন, খারিজি মাদ্রাসাগুলিতে (অনুমোদনহীন) জেহাদি শিবির চলছিল। এখানে দেশবিরোধী পাঠ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণও হচ্ছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে নতুন সদস্য নিয়োগ করছে জেএমবির শীর্ষ নেতারা। গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এই অ্যাপগুলির বিষয়ে তথ্য হাতে এসে গিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যেগুলির উপর নজরদারি শুরু হয়েছে।
আর সেই কারণেই কৌশল বদল করতে বাধ্য হয়েছে জেএমবি। গোয়েন্দাদের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, বিগত পাঁচ-ছয় মাসে সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় জলসার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। সেসব চলছে অনেক রাত পর্যন্ত। সেখানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষজন আসছে। তাদের টাকাতেই এই জলসাগুলির আয়োজন করা হচ্ছে। পুরনো জেহাদিরা অল্পবয়সি যুবকদের এখানে নিয়ে আসছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের মাঝেই অত্যন্ত কৌশলে ভারত বিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছে। জলসার মঞ্চ থেকে জেহাদি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার জন্য জেহাদি ভাষণ চলছে। এভাবেই হচ্ছে মগজ ধোলাই। তা শুনে যারা উৎসাহিত হচ্ছে, তাদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় জেএমবি শীর্ষ নেতাদের গোপন ডেরায়। গোয়েন্দারা জেনেছেন, বেশ কয়েকটি জলসায় জেএমবির শীর্ষ মাথা সালাউদ্দিন হাজির ছিল। তার সঙ্গে সংগঠনের অন্য নেতারাও আসে। এখান থেকে বেশকিছু সদস্য তারা নিয়োগ করেছে। তাদের প্রশিক্ষণ চলছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। কোথায় কোথায় জলসা চলছে, তার তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দা আধিকারিকদের। তার ভিত্তিতেই সেখানে কতজন যুবক জেএমবিতে নাম লিখিয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।