উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৪৬টি জিপিআই রয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর যেগুলি পরিদর্শন করে কেন্দ্র¬-রাজ্য যৌথ দল। সাম্প্রতিক সেই পরিদর্শন রিপোর্টেই বলা হয়েছে, রাজ্যে ৪৬টির মধ্যে ৩০টি জিপিআই সমস্ত নির্দেশ মেনে কাজ করছে। ১৪টি জিপিআই দূষণরোধ বিধি মেনে চলছে না। এছাড়া দুটি সংস্থা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে ১৪টি সংস্থা বিধি মেনে চলেনি, তার মধ্যে ১১টি সংস্থাকে শো-কজ করা হয়েছিল। বাকি তিনটি সংস্থা বিধি না মেনে চলায়, পূর্ববর্তী ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বাজেয়াপ্ত করা হয়। অন্যদিকে, শো-কজ চিঠি হাতে পাওয়ার পর তার উত্তর দেয় ১১টি জিপিআই। কিন্তু, তারপরে সেই প্রক্রিয়াতে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আর কোনও অগ্রগতি করেনি বলে কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে। এমনকী সেবিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তাও কিছু জানায়নি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। অন্যদিকে, সাময়িক বন্ধ জিপিআইগুলিকে বন্ধ করারও কোনও নোটিস ধরানো হয়নি। এছাড়া সেগুলি পরিদর্শন করে কোনও রিপোর্ট তৈরি করা হয়নি বলেও রাজ্যকে শো-কজ করা চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ওই সংস্থাগুলি গঙ্গায় দূষণ ছড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য আগস্টে বৈঠক হয়। তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
এছাড়াও যে জিপিআইগুলি নিজে থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেই সংস্থাগুলিকে পুরোপুরি ‘ক্লোজার’ বা অন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। শো-কজের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শো-কজের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমারও। তিনি বলেন, কেন্দ্র কেন শো-কজ করল তা বুঝতে পারছি না। কেন্দ্রের নির্দেশ মতো সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে কর্মী সঙ্কট থাকায়, কিছু ক্ষেত্রে কাজে বিলম্ব হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রের শো-কজের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য উত্তর দিয়ে জানিয়েছে, যে সমস্ত জিপিআই’গুলি দূষণ বিধি মেনে চলছে না, সেগুলিকে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়। আইন মতো সেই পরিদর্শন রিপোর্টও সিপিসিবি’র ই¬-পোর্টালে নিয়মিত দিয়ে দেওয়া হয়। যে ১১টি জিপিআই’কে শো-কজ করা হয়েছিল, সেগুলি পরবর্তী সময়ে পরিদর্শন করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৯টি সংস্থা সমস্ত বিধি মেনে কাজ করেছে। দুটি জিপিআই বিধি না মানায়, তাদের বিরুদ্ধে গত মাসে পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টও শীঘ্রই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া যে তিনটি জিপিআই নিজে থেকে উৎপাদন বন্ধ করেছে, সেগুলির বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেগুলি কেন্দ্র-রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমতি ছাড়া নতুন করে কোনও উৎপাদন করতে যাতে না পারে, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংস্থাগুলির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।