উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
সরকারি সৌজন্য দেখাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেও বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের অবস্থানে তাঁর এতটুকু নড়চড় হয়নি। নিজের সেই রাজনৈতিক অবস্থান তিনি প্রকাশ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বাংলার কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব তৃণমূল সম্পর্কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে রাজ্যের শাসকদলের দাবি। রাজ্যের জেলায় জেলায় ঘুরে ঘুরে মমতা নিজেই সিএএ এবং এনআরসি’র বিরুদ্ধে পদযাত্রা করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। যার জেরে বিজেপি যথেষ্ট চাপে রয়েছে। ঠিক সেই সময়েই আন্দোলনের নামে রাজ্যের কংগ্রেস ও বাম নেতারা মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করছেন। উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে মমতাই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি সবার আগে রাস্তায় নেমেছেন সিএএ’র প্রতিবাদে। শুধু তাই নয়, সর্বভারতীয় স্তরে এই আন্দোলনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মমতাই সর্বপ্রথম কংগ্রেস সভানেত্রী সেনিয়া গান্ধী সহ নানা অবিজেপি দলকে চিঠি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করেছিলেন। সেই অনুসারে কংগ্রেস সভানেত্রী বৈঠকও ডাকেন। মমতাকে মধ্যমণি করে সেই বিরোধী ঐক্যের ছবি ফুটে উঠতে না উঠতে মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করে নানা মন্তব্য করতে থাকে কংগ্রেসের বাংলা নেতৃত্ব। তার সঙ্গে যুক্ত হয় সিপিএম। দুই তরফের এই ধরনের ঐক্য বিরোধী আচরণ মেনে নিতে পারেনি তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী তাই বিধানসভাতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যাবেন না। এদিন তৃণমূল মহাসচিব পার্থবাবু বলেন, বাম ও কংগ্রেস যেভাবে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছে, তাতে তাদের অভিসন্ধি পরিষ্কার। যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হতে চাইছে, তাই বাংলায় মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত দুই দল তাতে বাধা দিতে বদ্ধপরিকর। পার্থবাবুর মতে, ওরা (কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট) তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করেই তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করছে। তাঁর দাবি, এই গোপন আঁতাঁত এখন প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন যত তীব্র হচ্ছে, ততই নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্কট বাড়ছে বিরোধীদের। তাই বিজেপির সঙ্গে বাংলার কংগ্রেস ও বাম নেতারা হাত ধরাধরি করে চলছে বলে দাবি পার্থবাবুর।