স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ
এদিন মোদি সরকারের আমলে স্বাস্থ্য পরিষেবার সাফল্য ও অগ্রগতি বিশ্লেষণ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গের এই সাংসদ। আর সেই প্রসঙ্গেই রাজ্যের উত্তর বাংলার মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বদান্যতায় উচ্চমানের চিকিৎসা পরিষেবার কথাও বলেন তিনি। এই বিষয়টির সূত্রেই জয়ন্তবাবু ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের ভৌগোলিক প্রকৃতি অনেকটা একইরকম। তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ যে চিকিৎসা কিংবা স্বাস্থ্য পরিষেবা পান, তা উত্তরবঙ্গবাসীদেরও পাওয়া উচিত।
সেক্ষেত্রে কি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে একত্রে জুড়ে দেওয়া হবে? বা সেটিই কাম্য বলে আপনারা মনে করেন? এই প্রশ্ন করা হলে সরাসরি জবাব অবশ্য জয়ন্তবাবু দেননি। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে বলেছেন, বিষয়টি আলোচনাসাপেক্ষ। তবে এই ব্যাপারে দলীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলা যেতে পারে। এই সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়েও বিবেচনা করা যেতে পারে। অর্থাৎ, ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে সাম্প্রতিক কালে যে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে, তা সরাসরি উড়িয়ে দেননি জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ।
জয়ন্তবাবুর এই বক্তব্যকে তাৎপর্য্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ এর আগে একইভাবে ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয়ে তিনি এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। যদিও বিজেপি সাফাই দিয়েছিল যে, কোনও রাজ্য ভাগ করা দলের রাজনৈতিক অবস্থান নয়। সুকান্তবাবু বঙ্গভঙ্গের কথা বলেননি। সোমবার জয়ন্তবাবুর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠায় এদিনও একই ব্যাখ্যা দিয়েছে বিজেপি শিবির।