স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখন নিত্যদিন যাতায়াত সহ জমির পাকা ধান তুলে আনতে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এলাকার পড়ুয়ারা স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যার পড়ছে। তাঁরা বলেন, কংক্রিটের পাইপ দিয়ে নবনির্মিত ওই চেক ড্যামের উপরের মোরামের রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। ফলে পথশ্রী প্রকল্পের ঝাঁ চকচকে কংক্রিটের রাস্তায় যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে ওই চেক ড্যাম সহ ভেঙে যাওয়া রাস্তা সংস্কার করা হলে উপকৃত হবে এলাকাবাসী। ইচ্ছাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশগোড়া মৌজার ৪৮২ নম্বর দাগে একটি ছোটো চেক ড্যাম রয়েছে। চাষের জমি ও পরিত্যক্ত মোরাম খাদান থেকে বর্ষার জল খালের মাধ্যমে ওই ড্যাম হয়ে বয়ে যায়। বর্ষার জলের উপর ভরসা করে ওই এলাকার জমিগুলিতে খারিফ চাষ হয়ে থাকে। ধান, গম ও আলুচাষ হয়। জলের সংরক্ষণের জন্য ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে চেক ড্যামটি সংস্কার করা হয়। ওই চেক ড্যামের উপর দিয়ে দু’টি গ্রামের যোগাযোগের কাঁচা রাস্তা ছিল।
এলাকাবাসীর দাবি মতো ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি রাস্তা কংক্রিটের করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তার মাঝে একাংশে ওই চেক ড্যামের উপর রাস্তা কাঁচা রয়ে যায়। বর্ষার জল উপচে ড্যাম সহ কাঁচা রাস্তা ভেঙে যায়। ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা পরেশ মাঝি ও লক্ষ্মী টুডু বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এই রাস্তা হওয়ায় আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। কিন্তু রাস্তার মাঝে চেক ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই সময় মাঠে ধান পেকে গিয়েছে। ট্রাক্টরে ধান আনা সম্ভব নয়। কেবল ওই ভাঙা চেক ড্যামের জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা সোনামণি মেঝেন বলেন, এলাকার স্কুলের পড়ুয়ারা খুব কষ্ট করে ওই চেক ড্যামের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ওই অংশটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। প্রশাসন দ্রুত কোনও পদক্ষেপ নিলে উপকৃত হব।
ইচ্ছাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিপ্রা মজুমদার বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।