স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ
তবে চেয়ারম্যান যাই বলুন না কেন, অনেক দিন থেকেই পুরসভায় হাউস ফর অল প্রকল্পে চাঞ্চল্যকর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবার ওই বিতর্কের কেন্দ্রে এলেন তৃণমূলের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলার।
স্থানীয়রা জানালেন, শম্ভুবাবুর পারিবারিক অবস্থা বেশ স্বচ্ছল। তাঁর একটি বিশালাকার দ্বিতল বাড়ি রয়েছে। আবাস যোজনার বাড়ির কোনও রকম প্রয়োজন ছিল না। তবুও সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাঁর স্ত্রী মনীষা দাসের নামে আবাসন প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা শিবরাম দাস ঘটনাটিকে স্বজনপোষণ বলেই দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরসভা এলাকার বহু গৃহহীন বাসিন্দা রয়েছেন। যাঁরা এখনও ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতে বা ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও বাড়ি পাননি। অথচ ওই কাউন্সিলার তাঁর স্ত্রীর নামে বাড়ি পাইয়ে দিলেন।’ শিবরামবাবুর সংযোজন, রামজীবনপুর পুরসভায় কাউন্সিলারদের বিশেষভাবে খুশি করতে না পারলে সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধেই পাওয়া যায় না। চেয়ারম্যান জানান, তাঁদের পুরসভায় রাজনীতির রং দেখে কাউকে সহযোগিতা করা হয় না। যাঁদের প্রয়োজন হয়, তাঁদেরই সহযোগিতা করা হয়। এপর্যন্ত ৩৬০০ বাড়ি মঞ্জুর করা হয়েছে। যোগ্য প্রত্যেককে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। বরং বাড়ি নেওয়ার মতো পরিবার পাওয়া যায়নি বলে ওই পুরসভা থেকে ৬০৫টি বাড়ি ফিরে চলে গিয়েছে।
এনিয়ে শম্ভুবাবু বলেন, ‘ওই বাড়িটি ২০১৫ সালের সার্ভের বাড়ি। তখন পরিস্থিতি আলাদা ছিল। বর্তমানে আমি সুপারিশ করে কোনও বাড়ি ম্যানেজ করিনি। যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন, তাঁদের পরিবারও আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন।’ রামজীবনপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভু দাসের স্ত্রী মনীষা দাসের নামে তৈরি হচ্ছে সরকারি প্রকল্পের বাড়ি।-নিজস্ব চিত্র