Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। এই আন্দোলনের ঠিক পরের বছর ১৯৬৭ সালে বাংলায় সরকার বদল হয়ে যায়। এরপর বিস্ময়করভাবে দীর্ঘকাল ধরে আন্দোলনের জেরে সরকার বদল কিন্তু আর হল না। হল প্রায় ৪১ বছর পর। ২০০৭ সালে। একটি আন্দোলনের পর সরকার বদল হয়েছে কিংবা সরকারের প্রতি মনোভাব মানুষের বদলে গিয়েছে, সেই নজির তৈরি হতে সময় লেগে গিয়েছিল ৪১ বছর। ২০০৭ সালে একইসঙ্গে হয়েছিল রেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রায় তৃতীয় খাদ্য আন্দোলন এবং সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কৃষিজমি আন্দোলন।  যার জেরে পরবর্তী বিধানসভা ভোটে সরকার বদলে যায়। বাংলায় সরাসরি সমাজে প্রভাব পড়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি যার রাজনৈতিক একটি অভিঘাত রয়ে গিয়েছে, এরকম তিনটি আন্দোলনই হ঩য়েছে এ পর্যন্ত। দুবারের খাদ্য আন্দোলন, নকশাল আন্দোলন এবং জমি আন্দোলন। 
সলতে পাকানো হয়েছে ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের পর। তেভাগা আন্দোলন ছিল তার প্রমাণ। ১৯৫৬ সালে ক্ষোভ প্রবল হয়ে ওঠে রেশন বণ্টন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং দুর্নীতি নিয়ে। ১৯৫০ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সবথেকে বড় সঙ্কট ছিল জনসংখ্যার চাপ। উদ্বাস্তু আগমন যার অন্যতম কারণ। 
চরম সঙ্কট এল ১৯৫৯ সালে। ৩০ টাকা প্রতি মন চালের দাম।  কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (তখনও অখণ্ড) একটি কমিটি গঠন করেছিল। প্রাইস রাইজ অ্যান্ড ফেমিন রেজিস্ট্যান্স কমিটি। বিধানসভায় দলীয় বিক্ষোভের পাশাপাশি এই কমিটি রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ডাক দেয়। ১৯৫৯ সালের ৩১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ৫ দিন চরম নৈরা঩জ্যের এক চিত্রের সাক্ষী ছিল বাংলা। একদিকে হিংসাত্মক আন্দোলন। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে দেওয়া। আর অন্যদিকে সরকারের কড়া হাতে দমন। গুলি চালানো। লাঠিচার্জ। গ্রেপ্তার। অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তিন হাজারের বেশি আহত। গুলিচালনায় যেমন সমালোচনায় ঝড় উঠেছিল, ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষের কঠোর নিন্দা আছড়ে পড়েছিল সিপিআইয়ের ওই চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জনজীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার কারণে। সুতরাং ভোটের রাজনীতিতে ফল পাওয়া যায়নি। 
১৯৬৬ সালে চালের দাম কেজি প্রতি ৬ টাকাতে পৌঁছে যায়। কেরোসিনও পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রফুল্ল সেন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলতে। ভাতের বদলে রুটি। আলুর বদলে কাঁচকলা। বসিরহাটের স্বরূপনগরে নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধি এবং কেরোসিনের অভাবের প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ হয়, সেখানে পুলিস গুলি চালায়। ১৫ বছরের স্কুল ছাত্র নুরুল ইসলামের মৃত্যু হল। তার সহপাঠী মনীন্দ্র বিশ্বাস আহত হল। গোটা বাংলায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। এবং সর্বত্র শুরু হয় আন্দোলন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেস সরকার গরিষ্ঠতা পেল না ভোটে। সরকারের পতন ঘটে। এসেছিল যুক্তফ্রন্ট সরকার। 
এরপর ৩৯ বছর কেটে গিয়েছে। খাদ্যাভাবের প্রকট চিত্র প্রথম সংবাদ শিরোনামে নিয়ে এল আমলাশোল। পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই গ্রামে লোধা ও শবর প্রজাতির অন্তত ১০জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে অনাহারে। খাদ্য না পেয়ে। ২০০৫ সালে। তুমুল শোরগোল হয়। ২০০৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে সোনামুখীতে মানুষের বিক্ষোভ টের পাওয়া গেল। রেশনে চাল-ডাল দেওয়া হচ্ছে না। কেন? বলা হচ্ছে সাপ্লাই নেই। ঘেরাও করল ৩ হাজার গ্রামবাসী রেশন ডিলারকে। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বিস্ফোরণের মতো উদ্গীরণ করল একের পর এক বিক্ষোভ। জেলার পর জেলা, ব্লকের পর ব্লক। রেশন ডিলারদের ঘেরাও, মারধর, আগুন, রেশন দোকান পুড়িয়ে দেওয়া চলল। বর্ধমানের কেতুগ্রামে পুলিসের গুলিতে আন্দোলনরত খেতমজুর শ্রমিক ধানু দাসের (৩২) মৃত্যু হল। গুলি চলল বাঁকুড়াতেও। জানা গিয়েছিল এক বিপুল রেশন দুর্নীতির কথা রাজ্যজুড়ে। এপিএল, বিপিএলের চাল চলে যাচ্ছে রাইস মিলে। যাচ্ছে বাজারে।  গরিবকে চাল না দিয়ে সেই চাল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল খোলাবাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিশনের মাধ্যমে জানা গেল ৩৫ শতাংশ রেশনের চাল বাজারে চলে যায়। গ্রামীণ বাংলার সেই প্রথম বামেদের প্রতি ক্ষোভের সূত্রপাত। 
এই সঙ্গেই বামফ্রন্ট সরকার কখনও সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীকে, কখনও নন্দীগ্রামে সালেম গোষ্ঠীকে অগাধ কৃষি জমি দেওয়ার জোরদার উদ্যোগ নিচ্ছিল। নিজেদের ধর্মচ্যুত হয়ে সিপিএম কৃষকবিরোধী অবস্থানে চলে গেল।  কৃষিজমি কেড়ে নেওয়ার পক্ষে সিপিএম। ভাবা যায়? এই  সুযোগ তিনি ছাড়বেন কেন? অতএব শুরু হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আন্দোলন। সরকারের ঩সেই একই ভুল। গুলি, লাঠিচার্জ, মূত্যু। ২০০৭ সালের এই দুই আন্দোলনের পর থেকেই বামফ্রন্ট সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে ঝড়ের মতো। একের পর এক ভোটে তারা পরাস্ত হয়। ২০১১ সালে ক্ষমতাই চলে যায়। 
এরপর কেটে গিয়েছে ১২ বছর। লক্ষ করা 
যাচ্ছে, এই ১২ বছরে সাফল্যের মাপকাঠিতে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে এমন ফারাক তৈরি হয়েছে যা 
৭৭ বছরে বাংলার রাজনৈতিক ‌ইতিহাসে আসেনি। এরকম দিশাহারা এবং অপরিকল্পিত বিরোধী শিবির বাংলায় কখনও আসেনি। পক্ষান্তরে বিভিন্ন সঙ্কটে সরকারপক্ষ সুপরিকল্পিত প্ল্যান, অসীম ধৈর্য এবং নিখুঁত স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সঙ্কটমুক্ত হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিপুলভাবে নিজের ভোটব্যাঙ্ক এবং প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করছে। 
এমন নয় যে, সরকার কোনও ভুল করছে না। অথবা দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম নেই। বরং একঝাঁক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সরকারের বিরুদ্ধে হাজির হলেও এই রা঩জ্যের বিরোধীরা প্রতিটি ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, যেভাবে অপরিণতমনস্কতা দেখিয়েছে সেটা অবিশ্বাস্য! এখনও পর্যন্ত একটিও ইস্যুকে সামনে রেখে বিরোধীরা পাখির চোখ করে এগয়নি। ফোকাস নিবদ্ধ রাখেনি। এবং নিজেদের আন্দোলনকে নিজেরাই নষ্ট করেছে।
বিরোধীদের মধ্যে বিজেপি যেহেতু সংসদীয় মাপকাঠিতে ও ভোটব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বেশি শক্তিশালী, তাদের দায় সবথেকে বেশি। কিন্তু তাদের সবথেকে বড় দুর্বলতা হল, দিল্লি নির্ভরতা। দিল্লি থেকে টাকা আসে। দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। দিল্লি থেকে স্ট্র্যাটেজি আসে। দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আসে। অথচ যারা দিল্লি থেকে নির্দেশ দেয় অথবা এজেন্সি পাঠায় তারা বাংলাকে চেনেই না। বারংবার প্রমাণ হয়। তাই একটি ভোটের পর অন্য ভোট পর্যন্ত এই একই ধারা চলে। ব্যর্থতাও বেড়ে চলে। । 
বামফ্রন্টের ভোটাররা বিগত ১২ বছর ধরে ক্রমেই বিজেপির দিকে চলে এসেছে। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল গঠন করার পর কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক এবং প্রভাব নগণ্য। কংগ্রেস তাই কখনও তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে। কখনও বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে। কখনও একলা চলে। কিন্তু তাদের উত্থান কিংবা ঘুরে দাঁড়ানো আর হয়নি। 
বামেদের দুর্ভাগ্য অথবা ব্যর্থতা হল, তাদের সমর্থকদের বড় অংশই সারা বছর সিপিএম, একমাত্র ভোটের দিন ছাড়া। তাদের নিয়ম হল, বামেদের ডাকা ব্রিগেডে গিয়ে ভোটের দিন বিজেপিকে ভোট দেওয়া।  সিপিএম যে আর কোনওদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারবে, এটা এখন আর বাম সমর্থকরাও বিশ্বাস করে না।  
সিপিএম স্বধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়েছে। সিপিএমের একঝাঁক নতুন নেতা-নেত্রী উঠে এসেছেন। তাঁদের নিয়ে সিপিএম অত্যন্ত উৎসাহিত। তাঁরা যখন পরাস্ত হন তখন সিপিএম দুঃখিত হয়। এই শহুরে মিডল ক্লাস অথবা শিক্ষিত এলিট নেতা-নেত্রীদের যতটা সিপিএম প্রমোট করে মিডিয়া কিংবা সভা সমাবেশে, সেই তুলনায় তাদের নিজেদের যা ছিল একসময় সবথেকে বড় শক্তি, সেই গ্রামীণ নেতা-নেত্রীর নাম শোনা যায় না। সাধারণ মানুষ এখন আর জানে না যে, সিপিএমের নামজাদা শ্রমিক নেতা কে? কৃষক নেতা কে? দলিত নেতাই বা কে? নেই। 
যাঁরা নতুন উঠে এসেছেন এবং ক্রমেই সিপিএমের মুখ হয়ে উঠছেন তাঁরা আরবান আপার ক্লাস ও আপার কাস্ট নেতা-নেত্রী। তাঁদের সঙ্গে গ্রাম ও সাবঅলর্টানের সম্পর্ক নেই। তাঁরা গ্রামে যান সভা সমাবেশ করতে সেলেব্রিটি নেতা-নেত্রী হিসেবে। গ্রাম থেকে উঠে আসছেন না কেউ। এর কারণ হল, সিপিএম এখন আরবান মিডল ক্লাসকেই নিজের চালিকাশক্তি ও সমর্থক হিসেবে পছন্দ করে ও সন্তুষ্ট। মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়াকেই তারা সত্যি পৃথিবী ভেবে নিয়েছে।
দু পয়সা ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন কিংবা অতি সাম্প্রতিক আর জি কর কাণ্ডের আন্দোলন ছিল শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সরাসরি বাংলার সব স্তরকে স্পর্শ করেনি আর্থ সামাজিক সাংস্কৃতিক নানাবিধ কারণে। সেই কারণে সেগুলি জনমন থেকে দ্রুত বিস্মৃত হয়ে গিয়েছে ও যাচ্ছে। ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধি ছিল সরাসরি রাজনৈতিক আন্দোলন। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডের আন্দোলন আরবান এলিট ও মিডল ক্লাসের আন্দোলন। এসব কারণেই সন্দেহ তৈরি হয় আদৌ কি এই বিরোধীদের ইস্যু তৈরি করা, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন তৈরি করে সেটাকে জনগণের আন্দোলনে পরিণত করার কোনও যোগ্যতা বা পারদর্শিতা আছে? সম্ভবত নেই। কেন? কারণ সরকার ও বিরোধীদের ভূমিকা পাল্টে গিয়েছে। 
অতীতে দেখা গিয়েছে যতটা বিরোধীরা আগ্রাসীভাবে আন্দোলনে নেমেছে, ততটাই সরকার কঠোর হস্তে সেই বিক্ষোভ দমন করেছে। অনড় অবস্থান নিয়েছে। গুলি চালিয়েছে। ফলে আরও বেশি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে নিয়ন্ত্রণ। বর্তমান রাজ্য সরকারের পুলিস আজ পর্যন্ত ১২ বছরে গুলি চালায়নি বিরোধীদের আন্দোলনে। বিক্ষোভ হলেই আলোচনায় বসে। একবার নয়। বারংবার। বিরোধিতা যতটা গরম। সরকার যেন ততই নরম। বিরোধীরা ফ্রন্টফুটে। সরকার যেন ব্যাকফুটে। এসবই কিন্তু স্ট্র্যাটেজির অঙ্গ। অর্থাৎ জনতাকে বার্তা দেওয়া যে এই দেখুন সরকার কোনও বিরোধ চায় না। সরকার আলোচনা চায়। সরকার সমাধান চায়, সরকারের ইগো নেই। অপমান অসম্মান করলেও সরকার মেনে নেবে সব শান্তির স্বার্থে, ইত্যাদি ইত্যাদি। বিরোধীরা সেটাকে নিজেদের জয় ভাবে। স্লোগান দেয় ‘ভয় পেয়েছে হাওয়াই চটি’। তারপর ভোটে হেরে যায়। 
এত সরকার বিরোধী ইস্যু আসছে এবং চলে যাচ্ছে। অথচ শুধু ভোটে নয়, বিরোধীরা স্ট্র্যাটেজিতেও হেরে যাচ্ছে কেন? 
29th  November, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
একনজরে
স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি কৃষি ঋণ মকুব। স্বাধীন ভারতে এক বছরে সর্বাধিক সরকারি চাকরির রেকর্ডও হয়েছে তেলেঙ্গানায়। ...

চা, কমলার পর সব্জি। একের পর এক গ্রিন হাউস ও পলিহাউসে ফলছে লেটুস, মাশরুম, পাক চোই, জুকিনি, ব্রোকলি ও বাঁধাকপি প্রভৃতি সব্জি। উদ্যানপালন দপ্তরের সহযোগিতায় তা চাষ করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দার্জিলিং পাহাড়। ...

ফুটবল ম্যাচ ঘিরে সংঘর্ষ। তার জেরে রক্তাক্ত হল পশ্চিম আফ্রিকার গিনি। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নজেরেকরের একটি স্টেডিয়ামে রবিবারের এই ঘটনায় কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে । ...

স্কুলে ভর্তির নিয়মাবলি প্রকাশ করেও ফর্ম বিলির দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেনি শিক্ষাদপ্তর। সূত্রের খবর, ওবিসি সংরক্ষণে আইনি জটিলতার কারণেই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস
১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম
১৮৮৪: বিশিষ্ট দার্শনিক, রাজনীতিবিদ তথা ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদের জন্ম
১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম
১৯৫৬: সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ডা. ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড প্রথমবারের মত মানবদেহে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন
১৯৭৯: হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের মৃত্যু
১৯৮২: কবি বিষ্ণু দে’র মৃত্যু
১৯৮৩: বাংলা ভাষায় প্রথম ‘ছোটদের অভিধান’ প্রকাশ করে বাংলা অ্যাকাডেমি
১৯৮৪: ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনায়  কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারান
২০১১: অভিনেতা দেব আনন্দের মৃত্যু
২০২০: সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন স্মরণে কলকাতার মাঝেরহাটে জয় হিন্দ সেতু নামে নতুন ব্রিজের উদ্বোধন হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৭৩ টাকা ৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮৫ টাকা ১০৯.৬১ টাকা
ইউরো ৮৭.৮২ টাকা ৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৭/৪৩ দিবা ১/১০। পূর্বাষাঢ়া ২৭/৫৩ সন্ধ্যা ৫/১৫। সূর্যোদয় ৬/৫/২১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৩৫। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/০। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
৩০ জমাদিয়স আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পারিবারিক বিরোধের জের, রাজস্থানে সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা-মা

10:26:00 PM

তেলেঙ্গানায় মহিলা পুলিস কর্মীকে খুনের অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে

10:00:00 PM

ঝাড়খণ্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিসের সঙ্গে বৈঠক করলেন হেমন্ত সোরেন

09:44:00 PM

কৃষকরা এমএসপির আইনি স্বীকৃতি চান, তাই প্রতিবাদ করছেন: তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়

09:23:00 PM

মুম্বইতে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে দেখা করলেন শচীন তেন্ডুলকর

09:10:00 PM

অভিনয় ছাড়ছেন না, আজ স্পষ্ট করে দিলেন অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি
অভিনয় ছাড়ছেন না। আজ, মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিলেন বলিউড অভিনেতা ...বিশদ

09:03:39 PM