স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ
এদিন অধিবেশনের প্রথমার্ধে প্রশ্নোত্তর পর্বের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন মমতা। প্রথমেই তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি নাক গলাতে চাই না। এটা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়টি দেখবে।’ এব্যাপারে তিনি যে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে, সেকথাও জানান। তবে ওপারে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে উদ্বেগ গোপন করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘এই রাজ্যের অনেক মানুষের পরিবার পরিজনেরা বাংলাদেশে গিয়ে বিপদের মধ্যে পড়েছেন। তাঁরা ভারতীয় পাসপোর্টধারী।’ তাঁদের বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগী হোক, সেই দাবি তিনি এদিন একাধিকবার উল্লেখ করেছেন বিধানসভায়। বলেছেন, ‘কেন্দ্র ওদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে খাওয়া, থাকার সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে আমরা রুটি ভাগ করে খাব।’
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে তিনি কিছু বলছেন না। তাঁদের আটকানো কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে ওয়াকফ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময়ও বাংলাদেশে আটকে পড়া লোকদের রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয় হওয়ার কথা শোনা যায় তাঁর গলায়। বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি এখানে যে আন্দোলন করছে, তার বিরোধিতা করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘সীমান্ত বন্ধ করে দেব, কোনও কিছু পাঠাতে দেব না—এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দূতাবাসে হামলা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব করা যায় না। এগুলো আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আন্তর্জাতিক চুক্তি আছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও গাইডলাইন দিলে তবেই রাজ্য সরকার তা কার্যকর করতে পারে।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির সময় সভায় বিরোধী আসনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। তারা এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাইলেও অনুমতি দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা সভায় বিক্ষোভ দেখান। পরে বিধানসভার বাইরে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী একতরফা ‘ ধরি মাছ না ছুঁই জল’ রকমের বক্তব্য রেখেছেন। আমাদের বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
মমতার এদিনের বিবৃতিতে রাজ্যের ৭৯ জন মৎস্যজীবীকে ওপারের জেলে অনেকদিন ধরে আটকে রাখার প্রসঙ্গও ওঠে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। তবে রাজ্য সরকারের তরফে যে আইনী সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এসবের মধ্যেও বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসা নিয়ে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী।