আগামী সাতদিন তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে কলকাতা চরম গরম। আর তার জেরে পূর্বেকার সব রেকর্ড চূর্ণবিচুর্ণ করে দিতে পারে ২০২৪ সালের কলকাতা। ৪৪ বছর আগে ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে একদিন শহরের তাপমাত্রা উঠেছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
ছ’বছরের শিশুটি চোখের দূরারোগ্য অসুখে ভুগছে। পরিবারটি নেহাতই দরিদ্র। উপযুক্ত চিকিৎসা করানোর সংস্থান নেই। ফলে শিশুটি একপ্রকার বিনা ওষুধেই নিরন্তর ভুগছিল। একদিন তার মা শুনলেন কলকাতায় চোখের ভালো চিকিৎসা হয়। সরকারি হাসপাতালে টাকা-পয়সাও লাগে না। মায়ের মন অবুঝ।
লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর আসনে ভাঙড়ের ফল যাবে কার দিকে, এই নিয়ে দোলাচলে সব রাজনৈতিক দল। প্রচারের দিক দিয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্র বাকিদের থেকে পিছিয়ে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এখানকার মানুষের মন বুঝতে চাইছে সব পক্ষই।
তৃণমূলের দূর্জয় ঘাঁটি বললেও কম বলা হয় বাঁকড়াকে। শেষ হাফ ডজন নির্বাচনের হিসেব বলছে, বিরোধীরা ঘুরে দাঁড়ানো তো দূর অস্ত, উঠেই দাঁড়াতে পারেনি। সেই বাঁকড়ায় মঙ্গলবার শক্তি প্রদর্শন করেছে সিপিএম!
কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও, এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা খুব বেশি একটা হোমের চার দেওয়ালের বাইরে বের হন না।
এই অসহ্য, গায়ে জ্বালা ধরানো গরমের অন্যতম কারণ কংক্রিটের জঙ্গল। নগরায়ণ। পরিবেশবিদরা এরকমটাই মনে করছেন। শহরজুড়ে বাড়তে থাকা ফ্ল্যাট, বাড়ি, বহুতলগুলির কংক্রিট বাতাস থেকে ক্রমাগত শুষে নিচ্ছে তীব্র গরম।
একই দিনে হাওড়ার তিন প্রান্তে তিনটি অগ্নিকাণ্ড। এর মধ্যে নন্দীবাগানে একটি আবাসন এবং বাঁকড়ায় প্লাইউড কারখানায় আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়। এছাড়া চ্যাটার্জিহাটেও আগুন লাগে।
পার্টি অফিসে নিয়মিত হাজিরা দেওয়া হয়নি। তাই স্থানীয় নেতার ফতোয়ায় রাস্তায় টোটো চলাচল নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাবড় কাউন্সিলার ও নেতাদের ফোন করেও সুরাহা পাননি ময়দান কাঁপানো বরানগরের ফুটবলার রাজীব ঘোড়ুই।
উলুবেড়িয়া লোকসভা নির্বাচনের দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। তাই গ্রীষ্মের দাবদাহ উপেক্ষা করেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের কাছে পৌঁছতে কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রতিটি দলের প্রার্থীরা। চলছে বাড়ি বাড়ি প্রচার, গাড়িতে চেপে র্যালি।
কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও বিধাননগর: এবার নিউটাউনে সরকারি জমি দখল করে একাধিক পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। নিউটাউনে ফুটপাত এবং ফাঁকা জায়গা দখল করে তৈরি হয়েছে ওই পার্টি অফিসগুলি। শাসকদলের নেতাদের ভয়ে মুখ বুজে বসে আছে হিডকো এবং এনকেডিএ। এমন অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আদালত কড়া ভর্ৎসনা করল এনকেডিএ’কে। ওই পার্টি অফিসগুলি বেআইনিভাবে তৈরি হয়ে থাকলে অবিলম্বে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
অভিযোগ, হিডকোর জমি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই পার্টি অফিসগুলি তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত নিউটাউনে কোনও নির্মাণের জন্য অনুমতি দিয়ে থাকে এনকেডিএ। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে এনকেডিএ’র আইনজীবী দাবি করেন, এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। পাশাপাশি যেসব জায়গায় পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কথা শুনেই চটে যান বিচারপতি সিনহা। আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি কি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে সওয়াল করতে এসেছেন? ওই এলাকায় নির্মাণের জন্য অনুমতি আপনারা দিয়ে থাকেন। বিনা অনুমতিতে তাহলে কী করে ওই পার্টি অফিসগুলি তৈরি হল? আপনি কি বলতে চাইছেন, আপনারা কিছুই জানেন না?’ ওই আইনজীবী তখন বলেন, একটি টিনের তৈরি অস্থায়ী পার্টি অফিসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেটি হিডকোর জমিতে তৈরি হয়েছে। এব্যাপারে হিডকোর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে কোনও উত্তর মেলেনি। নিউটাউন থানার তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে এনকেডিএ এবং হিডকো উভয়ের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি।
এরপরই বিচারপতি বলেন, মামলাকারী ওই পার্টি অফিসগুলির ছবি আদালতে দাখিল করেছেন। ছবি দেখে অবিলম্বে ওই পার্টি অফিসগুলিকে চিহ্নিত করুন। সেগুলি নির্মাণের অনুমতি না থাকলে ভেঙে ফেলতে হবে। শুধু এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ নয়, পুলিসকেও ওই বেআইনি নির্মাণগুলি খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। নির্দেশ কার্যকর করে ১০মে’র মধ্যে এনকেডিএ, হিডকো এবং নিউটাউন থানাকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। ওইদিন মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্যদিকে, সল্টলেকের সিএফ ব্লকে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ও গ্যারাজে বেআইনি নির্মাণ হয়েছিল। বিধাননগর পুরসভা ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল। কিন্তু, নিজেরা ভেঙে না ফেলায় মঙ্গলবার ওই দু’টি বেআইনি অংশ ভেঙে দিয়েছে পুরসভা। পুরসভা দাবি, এই ধরনের বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গাতেও একই পদক্ষেপ করা হবে।
অভিযোগ, হিডকোর জমি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই পার্টি অফিসগুলি তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত নিউটাউনে কোনও নির্মাণের জন্য অনুমতি দিয়ে থাকে এনকেডিএ। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে এনকেডিএ’র আইনজীবী দাবি করেন, এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। পাশাপাশি যেসব জায়গায় পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কথা শুনেই চটে যান বিচারপতি সিনহা। আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি কি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে সওয়াল করতে এসেছেন? ওই এলাকায় নির্মাণের জন্য অনুমতি আপনারা দিয়ে থাকেন। বিনা অনুমতিতে তাহলে কী করে ওই পার্টি অফিসগুলি তৈরি হল? আপনি কি বলতে চাইছেন, আপনারা কিছুই জানেন না?’ ওই আইনজীবী তখন বলেন, একটি টিনের তৈরি অস্থায়ী পার্টি অফিসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেটি হিডকোর জমিতে তৈরি হয়েছে। এব্যাপারে হিডকোর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে কোনও উত্তর মেলেনি। নিউটাউন থানার তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে এনকেডিএ এবং হিডকো উভয়ের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি।
এরপরই বিচারপতি বলেন, মামলাকারী ওই পার্টি অফিসগুলির ছবি আদালতে দাখিল করেছেন। ছবি দেখে অবিলম্বে ওই পার্টি অফিসগুলিকে চিহ্নিত করুন। সেগুলি নির্মাণের অনুমতি না থাকলে ভেঙে ফেলতে হবে। শুধু এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ নয়, পুলিসকেও ওই বেআইনি নির্মাণগুলি খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। নির্দেশ কার্যকর করে ১০মে’র মধ্যে এনকেডিএ, হিডকো এবং নিউটাউন থানাকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। ওইদিন মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্যদিকে, সল্টলেকের সিএফ ব্লকে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ও গ্যারাজে বেআইনি নির্মাণ হয়েছিল। বিধাননগর পুরসভা ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল। কিন্তু, নিজেরা ভেঙে না ফেলায় মঙ্গলবার ওই দু’টি বেআইনি অংশ ভেঙে দিয়েছে পুরসভা। পুরসভা দাবি, এই ধরনের বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গাতেও একই পদক্ষেপ করা হবে।
