সংবাদদাতা, বনগাঁ: অবৈধ সম্পর্ক আছে, সেজন্যই স্ত্রীর ঘরে উঁকি দিচ্ছে! এমন সন্দেহের বশে স্বামীর কুড়ুলের কোপে মৃত্যু হল এক মহিলার ‘প্রেমিকের’। সোমবার রাতে, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর শিমুলপুরে। মৃত ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল (৬২)। ঘটনায় অভিযুক্ত পরিতোষ দাসকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। মৃত রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের স্ত্রী সবিতা মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে মঙ্গলবার বনগাঁ আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস। অভিযোগ, সোমবার রাতে রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল পরিতোষ দাসের বাড়ির সামনে দিয়ে একাধিকবার যাওয়া-আসা করেন। পরিতোষের বাড়ির গেট খোলেন বলেও অভিযোগ। বিষয়টি দেখে রান্না ঘরে কুড়ুল নিয়ে লুকিয়ে ছিল পরিতোষ। অভিযোগ, রাত বারোটা নাগাদ টিনের ফাঁক দিয়ে স্ত্রীর ঘরে উঁকি দিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তখনই রান্না ঘর থেকে দৌড়ে এসে কুড়ুল দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে এলোপাথাড়ি কোপ দেয় পরিতোষ। গুরুতর জখম অবস্থায় বনগাঁ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী পরিতোষ দাসের স্ত্রীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। সেই খবর জানতে পারে পরিতোষ। এনিয়ে পরিতোষ-কাকলির মধ্যে অশান্তিও হয়। এই ঘটনার প্রায় ন’মাস আগে কাকলি রাতে বাড়ির বাইরে এলে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েও অশান্তি হয়। সেই পুরনো শত্রুতা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিস। কাকলি দাস বলেন, আমাকে ফলো করত রবীন্দ্রনাথ। আগে একবার ঝামেলা হয়েছিল। এদিন আমার ঘরে উঁকি মারতে দেখে স্বামী ওকে কুড়ুল দিয়ে কোপ মারে। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, রবীন্দ্রনাথ এলাকার সকলের উপকারে এগিয়ে আসতেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না।