কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আরামবাগে ভোট ২০ মে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে প্রচারের ঝাঁঝও তত বাড়ছে। বিজেপি, সিপিএম ও এসইউসিআইয়ের প্রার্থীরাও প্রচার করছেন। তবে তৃণমূল প্রার্থীর অভিনব প্রচার সকলকে টেক্কা দিচ্ছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসছে তাঁর প্রচার। কখনও গোরুর গাড়িতে চড়ে প্রচার করছেন, কখনও ঘরে ঢুকে বাড়ির মহিলারদের সঙ্গে ধানসিদ্ধ করছেন, মেলায় গিয়ে ছোট ছেলেমেয়েদের ফুচকা খাওয়াচ্ছেন, প্রায় নিত্যদিন সেসব খবরের শিরোনাম হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার নিয়ে হইচই চলছে। তবে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগারের প্রচারে সেই ঝাঁঝ কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। তুলনায় সিপিএম প্রার্থী বিপ্লব মৈত্রর প্রচার ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো।
তৃণমূল প্রার্থীর দাদা মলয় বাগ বোনের ছায়াসঙ্গী হয়ে ঘুরছেন। তিনি বলেন, বোনের ভোট প্রচার একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু করা হচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। রাস্তাঘাটে মানুষের সঙ্গে দেখা হলেই কথা বলছেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা খোঁজ নিচ্ছেন। অভাব অভিযোগ থাকলে শুনছেন। এই কাজ প্রার্থী হওয়ার আগে থেকেই করেছেন। সেই কারণে সহজেই মানুষের হৃদয় ছুঁতে পারছেন। মহকুমার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রার্থী হিসেবে মিতালি বাগ নিজের স্বাতন্ত্র তুলে ধরতে পেরেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের রাজনীতি করলেও ক্ষমতার বৃত্ত থেকে দূরে থেকেছেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেছেন। যা তাঁকে এবার বাড়তি মাইলেজ দিচ্ছে। গেরুয়া শিবিরকে অবশ্য সরকার বিরোধী প্রচারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা বা রামনবমীর ধর্মীয় আবেগ এখনও পর্যন্ত প্রচারে কার্যকর হতে দেখা যাচ্ছে না। ধর্মীয় আবেগের খামতি এবার বিজেপির ভোট প্রচারের ঝাঁঝ কমাচ্ছে। বিজেপির প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার বলেন, অপপ্রচার করে আমাদের থামানো যাবে না। তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। যেখানেই যাচ্ছি সাধারণ মানুষ ওদের হটানোর দাবি তুলছেন। একুশ সাল থেকেই আরামবাগের মানুষ ওদের ত্যাগ করেছেন।
তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, উন্নয়নমূললক কাজকেই আমরা এবার প্রচারে প্রাধান্য দিচ্ছি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচে না, বিজেপিরও তেমন ধর্মীয় আবেগ ছাড়া গতি নেই। সেটা কাজ না করায় ওদের প্রচার ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের লাগামছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে উনিশে ও একুশে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু বিজেপি বিধায়কদের দাদাগিরি, জন বিচ্ছিন্নতায় মানুষ ওদের ওপর ভরসা হারিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সিপিএমের প্রার্থীকে নিয়ে এখানকার মানুষের আশা আকাঙ্খা বাড়ছে। প্রচারের ছবিতে তা প্রকাশ পাচ্ছে। মিতালি বাগ বলেন, আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা পাচ্ছি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই প্রচারে বেরিয়ে এটাই বলছি।