কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নিউটাউন থানার অন্তর্গত গৌরাঙ্গনগর ক্ষুদিরাম পল্লিতে তাঁদের বাড়ি। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ বছর ধরে দুই ভাই মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। মাঝে মাঝে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু টাকার অভাবে সঠিক চিকিৎসা হয়নি। দু’জনেরই বিয়ে হয়েছিল। একটি করে সন্তানও হয়। কিন্তু, মানসিক সমস্যার জেরে দু’জনের স্ত্রী ছেড়ে চলে যান। তারপর দুই ভাই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগে তাঁরা বাড়ির বাইরেই থাকতেন। কিন্তু পাড়ায় অনেকের সঙ্গে ঝামেলা করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। মারপিটে জড়িয়ে পড়তেন। তখন বাবা-মা ঠিক করেন, তাঁদের বাড়িতেই আটকে রাখবেন।
তাঁরা যে রুমে থাকতেন, সেই রুমের দরজা গ্রিলের তৈরি। তার ফাঁক দিয়েই খাবার দেওয়া হতো। তাঁদের মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিচারিকার কাজ করে তিনি সংসার চালান। ছেলেদের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে পারেননি। তাঁর স্বামী আগে দিনমজুরের কাজ করতেন। এখন বাড়িতে থাকেন। দুই ছেলেকে গ্রিলের বাইরে থেকে জল, খাবার দিয়ে কাজে যান মা। ১০ বছর ধরে চলছিল এভাবেই। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় তাঁদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা রিহ্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ব্লক প্রশাসনের একটি টিম এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরাও ওই বাড়িতে যান। বিধায়ক বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরই ওই দুই ভাইকে নারায়ণপুর থানার অধীনে লালকুঠিতে একটি রিহ্যাবে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি। আমরা এই দু’জনের পাশে এবং তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছি।’