কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
বাঙালির বেড়ানো লিস্টে দীঘা, দার্জিলিংয়ের পরই পুরী। কিন্তু করোনার প্রকোপে জগন্নাথ মন্দির বন্ধ। তাই পুরী বাদ পড়েছে তালিকা থেকে। হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ওড়িশার সাধারণ সম্পাদক শ্রীনিবাস সুবুধিও সেকথা স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, পুরী, ভুবনেশ্বরের হোটেলগুলিতে মাত্র ৩০ শতাংশ আগাম বুকিং হয়েছে। উল্টো ছবি দীঘার সমুদ্রতটে। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘বুকিংয়ের অবস্থা ভালো। সতর্কতাও মানা হচ্ছে। সপ্তমী থেকে ভালো ভিড় হবে।’
লকডাউন ওঠার পর থেকেই কাছেপিঠে বেড়ানো শুরু হয়েছে। মূলত গাড়ি নিয়েই ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসুর মতে, পুজোতেও সেই প্রবণতা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, ‘বেড়ানোর ক্ষেত্রে সুরক্ষাটাই প্রধান দুশ্চিন্তা। তাই এখনই খুব দূরে কোথাও পরিবার নিয়ে কেউ যেতে চাইছেন না। বরং পুজোয় বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, দীঘা-মন্দারমণি বা একটু গ্রামের দিকে ঘোরার ঝোঁক বেশি। বুকিংও ভালো হচ্ছে।’
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুরিজম সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বেঙ্গলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সমর ঘোষ অবশ্য আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রের দিকে। তাঁর কথায়, ‘মানুষ প্ল্যান করেই বেড়াতে ভালোবাসেন। কিন্তু স্পেশাল ট্রেন এত দেরিতে ঘোষণা হল, ততদিনে সবাই বিকল্প ভেবে নিয়েছেন। তার মধ্যে পুজোর পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় অনেকেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। পুজোর পরেও বেড়াতে যাবেন ভাবছেন অনেকে।’
উত্তরবঙ্গে প্রায় ৯৭ শতাংশ পর্যটন ক্ষেত্র খুলে গিয়েছে। কিন্তু দার্জিলিং, কালিম্পং বা কার্শিয়াংয়ের মতো জনপ্রিয় জায়গায় বুকিংয়ের অবস্থা ভালো নয়। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানাচ্ছেন, এর মূল কারণ ট্রেন না থাকা। দার্জিলিংয়ে প্রচুর হোটেলও খোলেনি। অন্যদিকে, একটু অফ বিট জায়গা যেমন সিটং, লামাহাটা, তাকদা, তিনচুলে, বড়া মঙ্গওয়া ইত্যাদি জায়গায় ৮০-৯০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। হোম স্টে বুকিংয়ের প্রবণতা বাড়লেও গত বছরের তুলনায় সংখ্যাটা অনেক কম। সিকিমও মাত্র ১০ দিন আগে খুলেছে। শেষ মুহূর্তে কিছু পর্যটক আসবে। মানুষ বেড়াতে আগ্রহী, এটুকুই যা আশার। একই মত সেখানকার পর্যটন পরামর্শদাতা রাজ বসুর।
পুজোর ঠিক পরেই বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে কলকাতার বিখ্যাত ট্রাভেল এজেন্সি কুণ্ডু স্পেশাল। সংস্থার কর্তা সৌমিত্র কুণ্ডুর বক্তব্য, ‘ট্রায়াল হিসেবে দু’টি ট্যুর করাচ্ছি। দেওঘর-বেনারস এবং হিমাচল প্রদেশ। দেওঘর-বেনারসের বুকিং প্রায় শেষ। হিমাচল নিয়ে এখনও দোলাচলে রয়েছি।’
দীঘার সমুদ্রসৈকত। -নিজস্ব চিত্র