উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, বনদপ্তরের তরফে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তাতে কোভিড পরিস্থিতিতে টিকিট বুকিংয়ের একমাত্র পথ মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইন মাধ্যম। তাই অ্যাপ মারফত টিকিট বুকিংয়ের প্রক্রিয়াটিতে অতিরিক্ত জোর দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আলিপুর চিড়িয়াখানার ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হবে।
কোভিড সংক্রমণ এড়াতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন পাঁচ হাজারের বেশি দর্শক আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। রাজ্য সরকার আগেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তা জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি চিড়িয়াখানা খুললেও দর্শক প্রবেশের জন্য মাত্র দু’টি গেট খোলা রাখা হবে। অবশ্যই তা অনলাইন টিকিটের জন্য। সেখানেই ই-টিকিট স্ক্যান করালে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে। তবে দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
চিড়িয়াখানার ভিতরে একটি মাস্ক কাউন্টারের পরিকল্পনাও করছেন কর্তৃপক্ষ। প্রবেশের জন্য দু’টি নির্দিষ্ট গেটে স্যানিটাইজিং টানেল বসানো হবে। দর্শকদের প্রবেশ করতে হবে তার মধ্যে দিয়েই।
তার আগে অবশ্য থাকছে থার্মাল চেকিংয়ের এর ব্যবস্থা। ছোঁয়াচ এড়াতে প্রতিদিন সকাল-বিকেল করে দু’বার সম্পূর্ণ চিড়িয়াখানা স্যানিটাইজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, পশুপাখিদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট কিছু এনক্লোজারের সামনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন থাকবে। যেসব এনক্লোজারে দর্শকদের ভিড় বেশি এবং খাঁচার অত্যন্ত কাছাকাছি দর্শকদের আনাগোনা সম্ভব সেখানেই মোতায়েন রাখা হবে তাঁদের। যেমন বাঘ, শিম্পাঞ্জি, হাতির খুব কাছাকাছি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না দর্শকদের। ১৫ দিন পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।