পরিত্যক্ত আবাসন। চারপাশ থেকে ভেঙে পড়ছে সিমেন্টের বড় বড় চাঁই। দু’-এক বছর নয়, বছরের পর বছর এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল পাঁচটি আবাসন। যার মধ্যে একটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, বাকি চারটি এখনও দাঁড়িয়ে।
কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: করোনার আতঙ্ক কি ক্রমশ আমাদের মূল্যবোধ, মানবিকতাকেও মেরে ফেলছে? লকডাউন পর্বে এমন একাধিক ঘটনা সামনে উঠে এসেছে, যা থেকে এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সেরকমই আরও একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল হাওড়ার লিলুয়া। এখানকার বি রোডে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ’টা-সাতটার দিকে রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে এক বৃদ্ধ শারীরিক অসুস্থতার কারণে পড়ে যান। সেখানেই যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে পড়ে রইলেন প্রায় চার ঘণ্টা। তারপর অবশ্য দু’-তিনজন সহৃদয় মানুষের উদ্যোগে লিলুয়ার পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে। করোনার আতঙ্ক নানা সামাজিক সমস্যা ও মানুষের মধ্যে দূরত্বকে যে বাড়িয়ে তুলছে, এই ঘটনা তার একটি উদাহরণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
লিলুয়ার বি রোড এলাকায় বহু ছোট, মাঝারি কারখানা রয়েছে। এরকমই একটি বালতি তৈরির কারখানায় ওই বৃদ্ধ কাজ করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ বালতি কারখানা থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার উপর পড়ে যান ওই বৃদ্ধ। সকালবেলা যাঁরা বেরিয়েছিলেন, তাঁরা পাশ কাটিয়ে চলে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা বৃদ্ধের নাম-পরিচয় বা ঠিকানা কিছু না জানার জন্য করোনা সন্দেহে আর ধারেকাছে যাননি। একজন পথচারী প্রথম স্থানীয় একটি বাড়ি থেকে গ্লাভস চেয়ে নিয়ে রোদ থেকে ওই বৃদ্ধকে কিছুটা ছায়াতে সরান। তিনি ও আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা লিলুয়া থানার পুলিসকে খবর দেন। পুলিস আসতে আসতে কিছুটা সময় কেটে যায়। অবশেষে সাড়ে ১০টা নাগাদ লিলুয়া থানার পুলিস একটি অটোর ব্যবস্থা করে এবং স্থানীয় দু’জন ব্যক্তির সাহায্যে অসুস্থ বৃদ্ধকে কোনার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানান, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো কোনও করোনা উপসর্গ ওঁর শরীরে নেই। চিকিৎসাতে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা যায়। স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক অজয় কুমার সাউ বলেন, বালতি কারখানায় কাজ করেন বলে ওঁকে চিনি। পড়ে থাকতে দেখে ওঁর কারখানায় খবর দিলেও তারা তেমন কোনও দায়িত্ব নিতে চায়নি। তারপর আমরা এক-দু’জন পুলিসের সাহায্যে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ওই অসুস্থ বৃদ্ধের নাম মুরারী মুখোপাধ্যায়, বাড়ি গোলাবাড়ি থানা এলাকায় বলে পুলিস জানিয়েছে। সূত্রের খবর, বৃদ্ধের ছেলে-মেয়ে বা স্ত্রী কেউ নেই। তাঁর ভাইপোকে খবর দেওয়া হলেও তাঁরা কোনও দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে বলে জানা গিয়েছে। করোনা পর্বে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লিলুয়ার বি রোড অঞ্চলে। অসহায় বৃদ্ধকে উদ্ধার করছে পুলিস।
লিলুয়ার বি রোড এলাকায় বহু ছোট, মাঝারি কারখানা রয়েছে। এরকমই একটি বালতি তৈরির কারখানায় ওই বৃদ্ধ কাজ করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ বালতি কারখানা থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার উপর পড়ে যান ওই বৃদ্ধ। সকালবেলা যাঁরা বেরিয়েছিলেন, তাঁরা পাশ কাটিয়ে চলে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা বৃদ্ধের নাম-পরিচয় বা ঠিকানা কিছু না জানার জন্য করোনা সন্দেহে আর ধারেকাছে যাননি। একজন পথচারী প্রথম স্থানীয় একটি বাড়ি থেকে গ্লাভস চেয়ে নিয়ে রোদ থেকে ওই বৃদ্ধকে কিছুটা ছায়াতে সরান। তিনি ও আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা লিলুয়া থানার পুলিসকে খবর দেন। পুলিস আসতে আসতে কিছুটা সময় কেটে যায়। অবশেষে সাড়ে ১০টা নাগাদ লিলুয়া থানার পুলিস একটি অটোর ব্যবস্থা করে এবং স্থানীয় দু’জন ব্যক্তির সাহায্যে অসুস্থ বৃদ্ধকে কোনার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানান, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো কোনও করোনা উপসর্গ ওঁর শরীরে নেই। চিকিৎসাতে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা যায়। স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক অজয় কুমার সাউ বলেন, বালতি কারখানায় কাজ করেন বলে ওঁকে চিনি। পড়ে থাকতে দেখে ওঁর কারখানায় খবর দিলেও তারা তেমন কোনও দায়িত্ব নিতে চায়নি। তারপর আমরা এক-দু’জন পুলিসের সাহায্যে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ওই অসুস্থ বৃদ্ধের নাম মুরারী মুখোপাধ্যায়, বাড়ি গোলাবাড়ি থানা এলাকায় বলে পুলিস জানিয়েছে। সূত্রের খবর, বৃদ্ধের ছেলে-মেয়ে বা স্ত্রী কেউ নেই। তাঁর ভাইপোকে খবর দেওয়া হলেও তাঁরা কোনও দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে বলে জানা গিয়েছে। করোনা পর্বে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লিলুয়ার বি রোড অঞ্চলে। অসহায় বৃদ্ধকে উদ্ধার করছে পুলিস।
