পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আদালত সূত্রের খবর, গত এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচার ভবনে বসেছিল বেশ কয়েকটি বিশেষ জরুরি কোর্ট। সেখানে জাল নোট মামলায় বেশ কিছু অভিযুক্ত জামিনের আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিস ও এনআইএ নিযুক্ত সরকারি আইনজীবীরা তেড়েফুড়ে ওই জামিনের বিরোধিতা করেন। ওই আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল, জাল নোট মামলায় অভিযুক্তরা জামিন পেলে তারা চম্পট দিতে পারে। এতে পরবর্তী সময় শুনানি প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। প্রতি ক্ষেত্রেই বিচারক ধৃতদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
কলকাতা নগর দায়রা কোর্টের বিভিন্ন এজলাসের পাশাপাশি মুখ্য বিচারকের কাছেও এনআইএ’র রুজু করা জাল নোট মামলার শুনানি হয়ে থাকে। বর্তমানে অতিমারির কারণে এইসব জাল নোট মামলার শুনানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। কোর্ট সূত্রের খবর, অতিমারির আগে কোনও জাল নোট মামলায় একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। আবার কোথাও সবেমাত্র শুরু হয়েছিল শুনানি। আবার কোথাও তারিখ পড়েছিল চার্জ গঠনের জন্য। কিন্তু পরবর্তী সময় লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় আদালতের দরজা। থমকে যায় জাল নোট মামলার যাবতীয় শুনানি।
আদালত সূত্রের খবর, বর্তমানে এই আবহে জাল নোট সক্রান্ত মামলায় যে চার্জশিট জমা পড়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে, তা স্থানান্তরিত করা হচ্ছে নগর দায়রা আদালতে। কিন্তু শুনানি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় ওই সমস্ত মামলার নথি আদালতেই জমা পড়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে পড়ে থাকা জাল নোট মামলার বিচার ফের কবে শুরু হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন পুলিসের কাছে।