বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বসিরহাট জেলা পুলিসের একাধিক আধিকারিক বলেন, এর আগে এই বিষয়ে একাধিক কেস হয়েছে। বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু, গত চার মাস নতুন পুলিস সুপার জেলার দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই সময়ে নতুন করে অভিযোগ হয়নি। তাই তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। যদিও ট্রাক মালিকদের দাবি, তোলাবাজিকে সিস্টেমে পরিণত করা হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে গাড়িকে ইচ্ছেমতো দাঁড় করিয়ে রেখে বিপুল টাকা ক্ষতির মুখে ফেলা হবে। চালক ও খালাসিকে বেধড়ক মারধর ও ছিনতাই করা হবে। আগেও যাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরাও সমস্যায় পড়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঘোজাডাঙা আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লরি লরি সামগ্রী বাংলাদেশে যায়। প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে প্রায় ৩০০ লরি মাল ঘোজাডাঙা দিয়ে বাংলাদেশ যায়। প্রতিটি লরি থেকেই তোলাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘোজাডাঙাগামী রাস্তার ইটিন্ডা থেকে পার্কিং পর্যন্ত সর্বত্র রসিদ ছাপিয়ে তোলাবাজি করা হয়। শ্রমিক সংগঠন ও কর্মহীন শ্রমিক বাঁচাও কমিটির নামে শাসক দলের মদতে টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ। প্রত্যেক দিন আদায় হচ্ছে কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা। দিনের পর দিন এই গুণ্ডারাজ চললেও পুলিস ও প্রশাসন নির্বিকার।
বসিরহাটের সংগ্রামপুরে জেলা পুলিসের কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে ঘোজাডাঙা সীমান্ত পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে। অথচ সেখানে কীভাবে প্রকাশ্যে তোলাবাজি হচ্ছে! এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও পুলিসি মদতে এই তোলাবাজি চলছে। বিপুল অঙ্কের তোলার টাকা এলাকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে খরচ করা হয়। সে কারণে ওই মধুভাণ্ড কেউ সহসা বন্ধ করতে চায় না। বরং চক্রের বিষয় প্রকাশ্যে এলে কৌশল বদল করে আরও টাকা তোলার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। টাকা তোলার কাজে জড়িতদের পিছনে প্রভাবশালীদের মদত থাকায় তারাও বুক ফুলিয়ে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে দিবালোকে গুন্ডা ট্যাক্স আদায় করে।
ফেডারেশন অব ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, আমরা সংগঠনের তরফে ২০১৭ সাল ও তারপরেও বসিরহাট থানার ওসি, জেলা পুলিস সুপার, এডিজি ট্রাফিক, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। এছাড়া একাধিক ট্রাক মালিক ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। বছরের পর বছর ধরে তোলাবাজি চলছে। বরং যারা অভিযোগ করছে, তাদের নাম তোলাবাজরা জেনে যাচ্ছে। এরপর লরির নম্বর ধরে অত্যাচার বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটি লরিকে কয়েক দিন দাঁড় করিয়ে দিলে বিপুল টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এখানে তো সকলে ব্যবসা করতে এসেছে। তাঁর দাবি, পুলিস ও প্রশাসন চাইলে গুন্ডা ট্যাক্স বন্ধ করতে পারে। সদিচ্ছা না থাকায় এখনও তোলাবাজি চলছে। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, কোনও তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। আমরা পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।