কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
ফি বছরের মতো বুধবার চতুর্থীর বিকেল থেকেই রাস্তায় নেমেছে কলকাতা পুলিস। প্রথম দিনে শহরের ৪০টি বড় পুজো মণ্ডপে প্রায় সাত হাজার পুলিস কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পঞ্চমীর বিকেল থেকে পুলিসের সংখ্যা আরও বাড়বে। তা বেড়ে হবে প্রায় ১৮-২০ হাজার। যার মধ্যে মহিলা পুলিসের সংখ্যা প্রায় সাতশো থেকে আটশো। গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল টিম ছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে রোমিওদের দাপট ঠেকাতে ‘উইনার্স’ বাহিনীও পথে থাকবে। লালবাজার সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে ৩টে, রাত ১২টা এবং সকাল ৮টা–এই তিনটি শিফ্টে পুজো মণ্ডপে পুলিস মোতায়েন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে মাথায় রেখেই কলকাতা পুলিস এবার ভিআইপিদের জন্য ‘পাইলট কার’ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। একমাত্র আগুন লাগলেই দমকলকে রাস্তা করে দিতে ১৩টি পাইলট কার তৈরি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চতুর্থীর দিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আর পুজো পরিক্রমার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে লালবাজার সূত্র জানানো হয়েছে।
পুজোর দিনগুলিতে কলকাতার প্রায় ২৬০০ বারোয়ারি পুজোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এমনিতে কলকাতার রাস্তায় ১৬০০ সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুজো উপলক্ষে কলকাতা পুলিস বাড়তি ৭৪টি ক্যামেরা বসাচ্ছে। পাশাপাশি বিসর্জনের দিন গঙ্গার ঘাটে বাড়তি ১৫টি ক্যামেরা বসছে। এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে পুজো কমিটিগুলিকে তাদের মণ্ডপে ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে।
ভিড়ের মধ্যে নজরদারি চালানোর জন্য কলকাতা পুলিস এবার বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে ৪৬টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করছে। পাশাপাশি বিসর্জনের জন্য গঙ্গার সাতটি ঘাটে সাতটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। পুজোর দিনগুলিতে আপদকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ২৭টি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ বা কিউআরটি রাস্তায় থাকবে। এছাড়াও ১৪টি সাধারণ অ্যাম্বুলেন্স, ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স তৈরি রাখা হবে। পুজোর সময়ে গঙ্গাবক্ষে নজরদারির জন্য সাতটি লঞ্চও নামাচ্ছে লালবাজার।
এছাড়াও শহরের বিভিন্ন মোড়ে ১৭৪টি পুলিস সহায়তা বুথ, ২৫টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ২৬টি পিসিআর ভ্যান, ৩১টি আরসিপি ভ্যান টহলদারি চালাবে। মণ্ডপের ভিড়ে ছোটরা হারিয়ে গেলে তাদের খুঁজে বের করার জন্য ন’টি ভ্রাম্যমাণ মিসিং স্কোয়াড তৈরি রাখা হয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুমও চালু করা হবে। অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার ১ তথা ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার সদর নিজে কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থাকবেন।