বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
শাসক দলের দাবি, এই উন্নয়নের উপর আস্থা রেখেই আসন্ন নির্বাচনে ফের তৃণমূলকেই ক্ষমতায় আনবেন মানুষ। শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভোটে জয়ের ব্যবধানও বাড়াবে তারা। যদিও শাসক দলের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, উন্নয়নের মাঝেও একাধিক অনিয়ম হয়েছে। যে প্রত্যাশা নিয়ে সিপিএমের পরিবর্ত হিসেবে মানুষ তৃণমূলকে এনেছিল, তার সিকিভাগও মানুষ পাননি বলে তাদের দাবি। স্থানীয় নেতৃত্বের উপরেও সাধারণ মানুষের বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে।
আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা বাবু বাগদি বলেন, গ্রামে দীর্ঘদিন পাকা রাস্তা ছিল না। এখন সেখানে ঢালাই রাস্তা হয়েছে। আগে সব বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। হাতে গোনা গুটিকয়েক বাড়ি ছাড়া সর্বত্র অন্ধকার। আলো না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। কিন্তু এখন সব বাড়িতেই বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। কাজ হয়েছে একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। প্রায় একই সুরে উন্নয়নের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা জগবন্ধু দে। তাঁর দাবি, বাম আমলে যা কাজ হয়েছিল, তার বহুগুণ বেশি কাজ হয়েছে। বিদ্যুৎ, রাস্তা হয়েছে। কর্মতীর্থ হয়েছে।
আউশগ্রাম তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত গোস্বামী বলেন, ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের কাছে উল্লেখযোগ্য হারে বিদ্যুত্ পৌঁছে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই এটা সম্ভব হয়েছে। পিএইচইর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এটি। এরমধ্যে তোকিপুর, কয়রাপুর এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘনগর, বিল্বগ্রাম এলাকায় কাজ প্রায় শেষ। কিছুদিনের মধ্যেই সাবমার্সিবলের মাধ্যমে মানুষের বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া হবে। আবাস যোজনায় ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। ফলে আউশগ্রামের মানুষ তৃণমুলের বিকল্প চান না।
২০১৬ নির্বাচনে আউশগ্রামে জয় পেয়েছিল তৃণমুল। সিপিএমের থেকে ছ’হাজারের কিছু বেশি ভোটে এই বিধানসভা ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর লোকসভায় ওই কেন্দ্রে ভোট বেড়েছে তৃণমূলের। ছ’হাজারের ব্যবধান বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। এই পরিসংখ্যানই জয়ের রাস্তা আরও মসৃণ করবে বলেই আশাবাদী তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা। যদিও একাধিক ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিজেদের জয়ের সম্ভাবনাকেই সামনে এনেছেন আউশগ্রাম বিজেপির আহ্বায়ক দেবব্রত মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, আউশগ্রামের একাধিক জায়গায় চাষের জলের অভাব রয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় থেকেও মানুষের সেই সমস্যা মেটায়নি। সঠিক কর্মসংস্থানের কোনও দিশাই নেই। অজয় নদকে কেন্দ্র করে বালি মাফিয়াদের উৎপাত বেড়েছে। গ্রামের রাস্তা ঢালাই ছাড়া প্রকৃত অর্থে কোনও কাজ করেনি তৃণমূল সরকার।
আউশগ্রাম কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে। এছাড়া তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির বড় অংশের ভোটও আছে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এই ভোটব্যাঙ্কের উপর যে দলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে তারাই জয় হাসিল করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।