বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
হাসন কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে নলহাটি-২ ব্লকের ৬টি ও রামপুরহাট-২ ব্লকের ৯টি অঞ্চল। এই বিধানসভার অন্তর্গত তীর্থভূমি তারাপীঠ। গত বিধানসভায় এখানে তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের মিল্টন রসিদ। কৃষিপ্রধান এই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ বলছে, আগের থেকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। গোপালপুর, বাবলাডাঙা, জয়চন্দ্রপুর, টিঠিডাঙা, বাগদিপাড়া ও নলহাটি-২ ব্লকের বেড়াশিমূল, বারনীঘাটা, কল্যাণপুর সহ বহু গ্রাম ব্রাহ্মণী নদী ও ভাঙলা কাঁদর লাগোয়া।
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হলধর মণ্ডল, বাবলাডাঙার সামসুল শেখ বলেন, ফিবছর বর্ষায় নদী ও কাঁদরের জল গ্রামগুলিতে প্রবেশ করে। তবে, নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রাম ডুবে গেলে বেরনোর রাস্তা ছিল না। ব্রিজ হওয়ার ফলে সেই সমস্যা আর নেই। যোগাযোগের অভাবে আগে উৎপাদিত ফসল ঘরেই পড়ে নষ্ট হতো। এখন সেগুলি বাজারজাত করতে পারছি। ছেলেমেয়েরা সরকারের দেওয়া সাইকেল চালিয়ে নির্ভয়ে স্কুল কলেজ যাচ্ছে। কন্যাশ্রীর সুবিধা পাচ্ছে। সরকারি বাড়ি থেকে পলু চাষে ভর্তুকি মিলছে। শৌচাগার নির্মাণ হয়েছে। এখন আমরা ভালো আছি।
পাবুইদিঘি গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, আগে উচ্চশিক্ষার জন্য রামপুরহাট বা জেলার অন্য কোথাও যেতে হতো। এখন গ্রামেই পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে। ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়াশোনা করছে। তবে, বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি না পাওয়ায় নলহাটির কিছু জায়গায় ক্ষোভ রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, অনেক দুঃস্থ পরিবার এখনও বাড়ি পায়নি। তবে বার্ধক্য, বিধবা ভাতা সময়মতো পাচ্ছি। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতি প্রয়োজন।
তৃণমূলের রামপুরহাট-২ ও নলহাটি-২ ব্লক সভাপতি যথাক্রমে সুকুমার মুখোপাধ্যায় ও বিভাস অধিকারী বলেন, তারাপুর, পোড্ডা, মথুরাপুর, বোনতা ও খামেড্ডা গ্রামে জুনিয়র হাইস্কুল হয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ রাস্তা হয়েছে। মাড়গ্রাম সহ প্রায় প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় সাবমার্সিবল বসিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের সরবরাহ করা হচ্ছে।
যদিও এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, বিরোধী দলের বিধায়ক হিসেবে এলাকার সমস্যা সরকারের কাছে একাধিকবার তুলে ধরেছি। কিছু সমস্যা মিটেছে। তবে, এখনও মাড়গ্রামের মাদারতলা ঘাটে দ্বারকা নদে ও ব্রাহ্মণী নদীর দেবগ্রাম ঘাটে ব্রিজ হল না। মাড়গ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রেকে মডেল হাসপাতাল করার দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি। ভোটবাক্সে মানুষ এর জবাব দেবেন।
যদিও শাসক দলের দাবি, বিধানসভা কংগ্রেসের দখলে থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী এই কেন্দ্রের উন্নয়নে কোনও খামতি রাখেননি। সেই ধারা বজায় রাখতে এই কেন্দ্রের মানুষ এবার তৃণমূলকেই চাইছেন।