বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
প্রায় একবছর পর মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় এলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই সভাকে ঘিরে জেলাজুড়ে কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। সোমবার রাত পর্যন্ত বাসের জন্য কার্যত নেতাকর্মীদের কাড়াকাড়ি চলে। এদিন দুপুর ১টা ৩০মিনিট নাগাদ সভা শুরুর কথা ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্তও সভাস্থলের অধিকাংশ ব্যারিকেড ছিল কার্যত ফাঁকা। তৃণমূলের জেলা নেতা, বিধায়ক থেকে শুরু করে খোদ শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকও বারবার খোঁজ নিচ্ছিলেন সভায় ভিড় না হওয়ার বিষয়ে। কিন্তু, দুপুর ১টার আগেই সভাস্থলে হুহু করে চারিদিক থেকে লোক আসতে শুরু করেন। ভিড়ের চাপে পুলিসকেও কার্যত সরে যেতে হয়। মুহূর্তের মধ্যে সভাস্থলের সব ব্যারিকেড ভর্তি হয়ে যায়। যাঁরা নিশ্চিন্তে বসে ছিলেন, তাঁদেরও ভিড়ের চাপে উঠে দাঁড়াতে হয়।
দুপুর ১টা ৩৫মিনিট নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার আকাশে দেখা যেতেই কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ যেন বাঁধ ভাঙে। প্রিয় দিদিকে দেখার জন্য সেই সময় ফুটবল মাঠ ও হেলিপ্যাডের বাইরেও তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ছৌনাচের তালে ঢোল ধামসার আওয়াজ, ছাত্রযুবদের দিদি দিদি চিৎকার এবং কর্মীসমর্থকদের স্লোগানে মাইকের শব্দ শোনাও কার্যত কষ্টকর হয়ে ওঠে।
মুখ্যমন্ত্রী সভামঞ্চে ওঠার পরই ছাত্রযুবদের উদ্দেশে বলেন, ছাত্র যুব যাঁরা দুষ্টু মিষ্টি খেলা করে, তাঁদের অনেক অভিনন্দন। একথা বলার পর যুবদের উচ্ছ্বাসে বক্তব্যের আওয়াজও ফিকে হয়ে আসে। তখনই হাসি মুখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন একটু থামতে হবে। যা বলছি তা মন দিয়ে শুনে শিখতে হবে। ভাষণ দেওয়াও শিখতে হবে। আর মাঝে মধ্যেই করতালি ও স্লোগানও দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেকে সভা শুরুর আগের ছবি তুলে প্রচার করছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় লোক হয়নি। ফাঁকা আছে। তাঁরা দয়া করে মঞ্চে এসে চারিদিকে চেয়ে দেখুন। রাস্তাতেও কয়েক হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এসেছিলেন বাঘমুণ্ডির খটকাডি গ্রামের বৃদ্ধ পাঁড়ু মাহাত। বয়স তাঁর ৭০ ছুঁই ছুঁই। তিনি বলেন, তৃণমূলের অনেকে সুবিধা ভোগ করে অন্য দলে চলে গিয়েছে। কেউ কেউ অন্য দলের লোকেদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করছে। এদিনের ভিড় ওইসব নেতার জবাব দিয়েছে। আর আমরা কোনও নেতার লোক নই, আমার দিদির লোক। দিদিকে দেখতেই এই বয়সেও এসেছি।
এদিনের সভার শুরু দিকেই মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। জেলার মনীষীদের নাম জানিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে পুরুলিয়া জেলার ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্যকেও স্মরণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুরুলিয়া জেলাতেই প্রথম ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। পুরুলিয়া জেলার মানুষ বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ মেনে নেয় না। আগেও মেনে নেয়নি, এখনও মেনে নেবে না।