বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
নবগ্রাম ব্লক অফিসের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সহদেব মণ্ডল। তিনি বলেন, গরম এলেই আশঙ্কায় থাকতাম। হামেশাই বিদ্যুৎ চলে যেত। লো-ভোল্টেজ হতো। মাঠের সাবমার্শিবল চালানো যেত না। জলের অভাবে জমি শুকিয়ে যেত। সাবস্টেশনটি তৈরি হলে হয়তো আমাদের সেই সমস্যা মিটে যাবে। পাঁচগ্রাম এলাকার বাসিন্দা রথীন সরকার বলেন, বহুদিন ধরেই শুনে আসছিলাম সাবস্টেশন তৈরি হবে। ভোটের সময় এই কথা বেশি করে শোনা যেত। কিন্তু ভোট মিটে গেলে আর কিছুই হতো না। চাষ করতে খুব সমস্যায় পড়তাম। আমাদের এলাকার বেশিরভাগ মানুষই ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। কোনওবছর চাষ ঠিকমতো না হলে সবাই সমস্যায় পড়ে যেত।
তৃণমূলের দাবি, সাবস্টেশন তৈরির পাশাপাশি তাদের জমানায় এই বিধানসভা কেন্দ্রের সার্বিকভাবে উন্নয়ন হয়েছে। বহু রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বাসিন্দারা। উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই এক সময়ের বাম দুর্গ ভেঙে পড়েছে। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে বাম বিধায়ক কানাই মণ্ডল তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁর হাত ধরে বহু বাম কর্মীও শাসকদলে চলে এসেছিল। তারপর থেকে তৃণমূল এখানে আরও শক্তিশালী হয়। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই বিধানসভা কেন্দ্রে রাজ্যের শাসকদল এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তবে নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস ও সিপিএম তাদের ভোটব্যাঙ্ক ফেরানোর জন্য বিধানসভা নির্বাচন অনেক আগে থেকেই ময়দানে নেমেছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে তারাই জয়ী হবে। উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই মানুষ তাদের পাশে থাকবে।
এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা কানাই মণ্ডল বলেন, আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। তবে সাবস্টেশন তৈরির কাজ শুরু করাটা আমাদের কাছে বড় সাফল্য। এই প্রকল্পের জন্য নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি মানুষই উপকৃত হবেন। এই এলাকায় জলপ্রকল্পের পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করা যায় আমরা সেই কাজও দ্রুত শুরু করতে পারব। যদিও বিরোধীদের দাবি, নবগ্রামে সার্বিক উন্নয়ন হওয়ার থেকে কাটমানি নিয়ে তৃণমূল নেতাদের আর্থিক অবস্থার বেশি উন্নতি হয়েছে। কংগ্রেস নেতা মহফুজ আলাম ডালিম বলেন, প্রতিটি প্রকল্পের জন্য তৃণমূল নেতারা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে থেকে টাকা নিয়েছে। ১০০দিনের কাজ, বাংলা আবাস যোজনা কোনও প্রকল্প বাদ যায়নি। এসবের জবাব মানুষ নির্বাচনে দেবে।