বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
অনুব্রতবাবু মঞ্চে উঠেই বক্তব্যের শুরুতে শিববাড়ির মাঠকে প্রণাম করে প্রার্থী যে ফের অভিজিৎ রায় তার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আপনাদের ঘরের ছেলে অভিজিৎ। আবদার করতে পারবেন। তাঁর কোনও অহঙ্কার নেই। মা মাটি মানুষের দলের প্রার্থী। মাটির ছেলে। তারপরই শুরু হয় বিজেপিকে আক্রমণ।
তিনি বলেন, ওরা নাকি এই ময়ূরেশ্বর কেন্দ্রে জিতে যাবে। আপনারা এই শিববাড়ি মাঠে এত লোক জড়ো করতে পারবেন? অত সহজ নয়। মুখ্যমন্ত্রী উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। মানুষের কাজ করেন বলেই তাঁকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছে। তোমরা তো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর দাঙ্গা লাগাতে জানো। এত উন্নয়ন বাম কংগ্রেস আমলে হয়নি, মুখ্যমন্ত্রী যা ১০ বছরে করেছেন। আজ রাজ্য কত এগিয়ে গিয়েছেন। সরকারকে মানুষের বাড়ির দরজায় হাজির করিয়ে দিয়েছেন। এটা দেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রী করেছেন? কত সুবিধা হয়েছে বলুন। বাড়িতে বসেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। বিজেপি, তোমরা তো বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছ, ক’জন মানুষের বাড়িতে গিয়েছ? আজ দুয়ারে সরকার কর্মসূচি দেখে তোমাদের লজ্জা লাগছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করছ।
বীরভূমের জেলা সভাপতি বলেন, ওরা গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশকে সোনার করতে পারল না। এখন সোনার বাংলা গড়বে বলছে। বাংলার মানুষ খাল কেটে কুমির আনবে না। তিনি ফের বলেন, বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগার পার করে দিন। বিজেপি এলে স্বাস্থ্যসাথী, যুবশ্রী, জয় জোহার, কন্যাশ্রী সহ সমস্ত প্রকল্প বন্ধ করে দেবে। ওরা তো বড়লোকের দল। গরিব মানুষকে শোষণ করাই ওদের কাজ।
এদিন অনুব্রতবাবুর বক্তব্য শেষ হতেই মঞ্চের নীচে থাকা কর্মী-সমর্থকরা মাইক্রোফোন হাতে ‘খেলা হবে, নুকুল দানা, চড়াম চড়াম, ঠেঙিয়ে পগার পার, খেলা হবে বলে স্লোগান দিতে থাকেন। সাংবাদিকদের অনুব্রতবাবু বলেন, খেলা হবে। ২১ সালে ভয়ঙ্কর খেলা হবে। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ফুটবল, হাডুডু, ক্রিকেট খেলা হবে। এগুলো ভয়ঙ্কর খেলা। ফুটবলে অনেকে পায়ে লাথি মারে। পা ভেঙে যায়। ক্রিকেট খেলায় বল লেগে হাঁটুর মালইচাকি ভেঙে যায়। হাডুডু খেলায় এমন করে টেনে ঢুকল, যে হাত ভেঙে গেল। এরকম অনেক ভয়ঙ্কর খেলা হবে। বলে রাখছি, ২২০ থেকে ২৩০টি আসন পাব। গত বিধানসভা নির্বাচনেও বলেছিলাম, ২১০-২২০টি আসন পাব। ২১১ টি আসন পেয়েছি। এবারও মিলিয়ে নেবেন। বিজেপিকে পগার পার করবেন বাংলার মানুষ।