শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তা তৈরি থেকে শুরু করে নিকাশি নালা তৈরি সহ সমস্ত কাজেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বেশিরভাগ সময় রাস্তা তৈরি নিয়েই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কিছু জায়গায় রাস্তা সংস্কার না করেই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক দপ্তরের জমা পড়েছে। কোথাও আবার দায়সারা করে কাজ করা হতো। নতুন নিয়মে সেই সমস্ত কারচুপি করা আর সম্ভব হবে না বলেই আধিকারিকরা মনে করছেন। কোনও কাজ শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। কাজ দেখে তাঁরা সন্তুষ্ট হলে তবেই বিল পাশ হবে। এবছর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে দেওয়া হয়েছে। আগে টাকা শুধু পঞ্চায়েতগুলি পেত। ত্রিস্তরে টাকা ভাগ করে দেওয়ায় কাজে সুবিধাই হবে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন। মাসদুয়েক আগেই রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি অর্থ কমিশনের টাকা পেয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ কিছুদিন আগে টাকা পেয়েছে। কোন কাজে কত টাকা ব্যয় করা যাবে তার হিসেব এবছর সরকার বেঁধে দিয়েছে। সেইমতো পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদগুলি কাজের রূপরেখা ঠিক করছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদ ১৪ কোটি ৮৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৫৭টাকা, নদীয়া ১০কোটি ১৪ লক্ষ, বীরভূম আট কোটি ৭৩ লক্ষ এবং পুরুলিয়া সাত কোটি ১৪লক্ষ টাকা পেয়েছে। এছাড়া দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জেলাও নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অর্থ কমিশন থেকে পেয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকেও একইভাবে টাকা দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে কাজ হবে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, আগে ১০০দিনের কাজে জিও ট্যাগিং ছিল। অর্থ কমিশনের টাকায় হওয়া কাজে জিও ট্যাগ করতে হতো না। এবার থেকে নির্দিষ্ট অ্যাপে প্রতিটি পঞ্চায়েতেরই ফোন নম্বর আপলোড করতে হবে। তারপর ধাপে ধাপে কাজের ছবি তুলে পাঠাতে হবে। এই নিয়ম কার্যকর হলে কাজের মান ভালো হবে। অনিয়ম বন্ধ হবে। এবছর অর্থ কমিশনের টাকায় রাস্তা তৈরি ছাড়াও পানীয় জল সরবরাহের কাজ এবং জনস্বাস্থ্য খাতেও টাকা খরচ করা যাবে। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজ না হলে বিল আটকে দেওয়া হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখবেন। অসঙ্গতির অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনে তাঁরা একাধিকবার কাজ দেখতে যাবেন। সিডিউল অনুযায়ী কাজ না হলে বিল আটকানোর পাশাপাশি অন্য পদক্ষেপও নেওয়া হবে।