শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মহম্মদবাজারের দেউচা ব্রিজের একাংশে বুধবার সকালে ফাটল দেখা যায়। ভারী যান চলাচলের ফলে পুরনো ওই ব্রিজটি বেহাল হয়ে পড়েছে। দ্বারকা নদের উপর থাকা ব্রিজটি আমূল সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ওইদিন ফাটল দেখা দিলে যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে মহম্মদবাজার থানার পুলিস ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। ছোটগাড়িগুলিকে একটি লেনে যাতায়াত করানো হয়। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যান চলাচল বন্ধ করে মেরামতির কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তাই এদিন ফের যানগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মেরামতির কাজ শেষ না হওয়ায় ছোট গাড়িগুলিকে অবশ্য ফের যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হয়। তবে, বড় যানগুলিকে ঘুরপথেই পাঠানো হয়। ভারী যানগুলি সিউড়ি থেকে মহম্মদবাজার হয়ে মল্লারপুরে যাতায়াত করেছে। রামপুরহাটের দিক থেকে ভারী যানগুলিকেও একইভাবে মল্লারপুর-সাঁইথিয়া হয়ে মহম্মদবাজারের রাস্তা দিয়ে ঘোরানো হয়।
বীরভূম জেলা বাসমালিক সমিতির এক কর্তা তন্ময় পৈতণ্ডি বলেন, ব্রিজে মেরামতি চলায় বাসগুলিকে মহম্মদবাজার হয়ে ঘোরানো হয়েছে। তার ফলে সময় বেশি লাগছে। অতিরিক্ত জ্বালানির খরচও হচ্ছে। তার সঙ্গে যানজট রয়েইছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। পরে আবার ব্রিজের কাছে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফাঁকা বাস পেরিয়েছে। তাছাড়া ঘুরপথের ওই রাস্তাটিও বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় আট হাজার ভারী যান চলাচল করে। তাছাড়া ছোট গাড়ির চলাচলও রয়েছে কয়েকহাজার। বর্তমানে জাতীয় সড়কের একটি বড় অংশ ব্যাপক বেহাল অবস্থায় রয়েছে। তার জেরে বাসিন্দাদের যানজটের পাশাপাশি ধুলোর যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সমস্যা সমাধানে একাধিকবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাতেও সুরাহা মেলেনি। তবে, কিছুদিন ধরে জাতীয় সড়কের কিছু অংশে মেরামতির কাজ করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে দেউচা সেতুর একাংশে ফাটল হওয়ায় ফের যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, বর্তমানে জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য সমস্ত পরিষেবাতেই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেকের দাবি, বেহাল রাস্তার জন্য অনেক সময় যানজটে ফেঁসে গিয়ে ১০মিনিটের রাস্তা পেরতে ৪৫মিনিট লেগে যাচ্ছে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, দেউচা সেতুতে এদিন মেরামতির কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে। তবে, সেখানে যান চলাচল নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হওয়া উচিত। এরজন্য পুলিস-প্রশাসনের নজরদারিও প্রয়োজন। এব্যাপারে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ওভারলোডিং বন্ধ না হলে বীরভূম জেলার মধ্যে যে কোনও ব্রিজই ভেঙে পড়তে পারে। তাই এব্যাপারে সব মহলের নজর দেওয়া উচিত। পুলিস জানিয়েছে, এদিন বিকেলের পর থেকে ব্রিজের দু’টি লেন দিয়েই গাড়ি যাতায়াতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে, ওভারলোডিংয়ের নজরদারি সবসময়ই করা হয়। এরজন্য ওভারলোডিংয়ের অভিযোগে বহু মামলা করা হয়েছে। ব্রিজ মেরামতির পর ফের ওভারলোডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।