শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
বিভিন্ন বাজারে, বাসে, ট্রেনে হকারের কাজ করেন এমন বীরভূমের বহু মানুষ রয়েছেন। জেলার ছয় শহরে এমন হকারদের পরিসংখ্যান জানতে পুরসভা সমীক্ষাও করেছিল। তার ফলে জেলায় কয়েকহাজার হকার চিহ্নিত করা হয়। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকারদের পাশে দাঁড়াতে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেইমতো গত বুধবারই বীরভূমের পুরসভাগুলিতে হকার সহায়তা প্রকল্প সম্পর্কে নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে। আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্সের তরফে ওই নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জেরে হকারদের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়েছে। লকডাউনে দীর্ঘদিন তাঁদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় জীবিকা সঙ্কটে পড়ে। পুরসভা এলাকার বাসিন্দা অনেক হকারই পরে জীবিকা পরিবর্তন করতেও বাধ্য হন। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকার সেইসব হকারদের পাশে দাঁড়াতে সাহায্য করছে। হকার সহায়তা প্রকল্পে সাহায্য একবারই দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট থানা থেকে হকারদের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার পর তা পুরসভায় পাঠানো হবে। পরে পুরসভা তা রাজ্যের কাছে পাঠালে সাহায্যের অনুমোদন মিলবে।
এই প্রকল্পের আবেদনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, এই রাজ্যে বসবাসকারী হকাররাই সাহায্য পাবেন। এক্ষেত্রে যাঁরা করোনা পরিস্থিতির কারণে চরম সমস্যায় পড়েছেন বা বিকল্প রোজগারের পথ খুঁজে পাননি, তাঁরাই এই প্রকল্পে সুবিধা পাবেন। তবে, সংশ্লিষ্ট হকার রাজ্যের অন্য কোনও প্রকল্পের উপভোক্তা হলে তা দেওয়া হবে না। যেমন বৃদ্ধ, বিধবা বা প্রতিবন্ধী ভাতা পান অথবা অন্য কোনও প্রকল্প থেকে মাসিক সাহায্য পান এমন হকাররা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না। একটি পরিবার থেকে একজনই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। হকারদের এই প্রকল্পে সুবিধা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট থানায় আবেদন করতে হবে।
পুরসভা ও পুলিসের তরফে যৌথভাবে সমন্বয় করে এই প্রকল্পের কাজ করতে হবে। এরজন্য থানায় হকাররা আবেদন করার পর পুলিসের আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখবেন। পরে তিনি তা পুরসভায় পাঠাবেন। আবেদনে হকাররা তাঁদের তথ্য দেওয়ার পর মুচলেকা নেওয়া হবে। তার সঙ্গে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হলে সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিক তাতে স্বাক্ষর করবেন। এমনকী পুরসভার আধিকারিককেও ওই আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে তা অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে অনুমোদন পেলে হকাররা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সহায়তা পাবেন। তবে, সংশ্লিষ্ট হকার কোন এলাকায় ব্যবসা করেন তার বিবরণ আবেদনে জানাতে হবে। সিউড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অঞ্জন কর বলেন, হকার সহায়তা প্রকল্পের নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে। পুজোর পর এব্যাপারে কাজ শুরু করা হবে।
তৃণমূলের হকার সংগঠনের সিউড়ির নেতা রাজিবুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে হকাররা ব্যাপক দুরবস্থায় কাটিয়েছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের সহায়তা দিলে খুবই ভালো হবে।