কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে এত বড় এবং জৌলুস পূর্ণ বইমেলা রাজ্যের আর কোথাও হয় কি না সন্দেহ। তিনি বলেন, কলকাতা বইমেলা ছাড়া বইয়ের জন্য হাঁটুন শিরোনামে প্রায় ২ হাজার মানুষের একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্রায় হাঁটছেন দেখে আমি অভিভুত। তিনি বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার প্রেরণা একমাত্র বই। তাই মেলায় এসে প্রত্যেকে যেন একটি করে বই কেনেন এবং এই এলাকাকে সমৃদ্ধ করেন। তিনি বলেন, নতুন বইয়ের গন্ধ শুকলে বাঙালির খিদে পায়। কিন্তু, বর্তমান প্রজন্মের বই বিমুখতা আমাকে কষ্ট দেয়।
অন্যদিকে বলিউড অভিনেত্রী জিনাত আমন বলেন, বইয়ের জন্য এত বড় মেলা এবং তাকে কেন্দ্র করে এত অনুষ্ঠান দেখে ভালো লাগছে। এদিন এই দুই কিংবদন্তী অভিনেতা অভিনেত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, বিডিও অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওসি মানস চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক স্বপন বাউরি।
বইমেলা কমিটির সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছর বাঁকুড়া জেলা বইমেলা শহরে হয়। কিন্তু মেজিয়া শালতোড়া এলাকার মানুষ সেই বইমেলায় গিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। কারণ বইমেলা দেখে ফেরার জন্য সন্ধ্যার পর কোনও বাস থাকে না। আমাদের দাবি ছিল জেলা বইমেলাকে বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে করা হোক। কিন্তু, তা হয়নি। তাই আমরা ২০১১ সালে মেজিয়া ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি এবং মেজিয়া ব্লকের পঞ্চায়েত গুলির সহযোগিতায় বইমেলা করার সিদ্ধান্ত নিই।
মলয়বাবু বলেন, রাঢ় সংস্কৃতি ও বই হল মনন এবং চেতনার অন্যতম জিয়নকাঠি। তাই বইমেলার পাশাপাশি বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম ও পুরুলিয়া জেলার সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য এই ৪ জেলার সংস্কৃতি নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রায় দেড় হাজার প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। তাতে যাঁরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন তাঁরা মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠান করতে পারবেন।
মেজিয়ার ভূমিপুত্র বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বাঁকুড়া জেলার সাহিত্য সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান মেজিয়া। এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন রামায়ণকার জগদ্রাম রায়, কবি রামপ্রসাদ রায়, পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীধর মুখোপাধ্যায়, বাসুদেব মণ্ডল চট্টোপাধ্যায়, শেখ আজিজুল হক, ত্রিলোচন ভট্টাচার্য, শেখ ফজলুল হকের মতো বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকরা। এই পূণ্যভূমিতে বইমেলা শুধু মেজিয়া নয়, বাঁকুড়া জেলার গরিমা বাড়িয়েছে।