কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জে রাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুতেই প্রশমিত হচ্ছে না। বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সেখানে মারামারি, খুন, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেই চলেছে। পুলিস প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তুফানগঞ্জের বাসিন্দারা চরম আতঙ্কের মধ্যে কাটাচ্ছেন। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন। এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বিজেপি এবং তৃণমূল নেতৃত্ব একেঅপরের কাঁধে দায় চাপিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মহিষকুচি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, বল্লম, তির-ধনুক হাতে নিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে লোকজনকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে বেধড়ক পেটানো হয়। এক ফুচকা বিক্রেতার ভ্যান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিকা গ্রামের এক মহিলা তৃণমূল কর্মীকে দুষ্কৃতীরা বেধড়ক পেটায়। রীতা দেবনাথ নামে ওই কর্মী মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন। তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে তিনি ভর্তি।
তৃণমূলের মহিষকুচি-১ অঞ্চল সহ সভাপতি এক্রামুল হক বলেন, মাত্র কয়েকটা আসনে জিতেই বিজেপি যেভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ওরা এলাকা উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে না জানি কী হতো। আমরা পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
বিজেপির তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সংযোজক উৎপল দাস বলেন, ওই ঘটনাগুলির সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে। অনেক কর্মী বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্য অসমে গিয়ে এখন আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল যুযুধান দুই শিবিরের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দখলে থাকা অঞ্চলগুলি বিধানসভা ভোটে জিতে বিজেপি দখল নিতে চাইছে। কিন্তু, তা যাতে হাতছাড়া না হয়, সেজন্য মরিয়া তৃণমূল। এ নিয়েই এলাকায় এলাকায় অশান্তি হচ্ছে।