বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সিপিএমের কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আলোচনা সঠিক পথেই চলছে। গতবার যে দল যে ওয়ার্ডে জিতেছিল সেই ফর্মুলা ধরেই আলোচনা মসৃণ গতিতে এগচ্ছে। ২৮ তারিখের পর ফের আলোচনা হবে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি গজেন বর্মন বলেন, আসন সমঝোতা থমকে যায়নি। ওয়ার্ড ভাগাভাগি নিয়ে একটি-দু’টি ওয়ার্ডে হয়তো সমস্যা আছে। কিন্তু ২৮ তারিখ ফের আলোচনা করে আমরা সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠব।
২০১৩ সালের পুরভোটে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডে সিপিএম ১০টি, আরএসপি আটটি, সিপিআই ও ফরওয়ার্ড ব্লক একটি করে ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয়। কংগ্রেস ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ২০টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছিল। ভোটে সিপিএম চারটি, আরএসপি তিনটি ও সিপিআই একটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়। অন্যদিকে কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয়ই ছ’টি করে ওয়ার্ডে জেতে।
বোর্ড গঠনের দিন কংগ্রেস কাউন্সিলারদের অনুপস্থিতিতে পুরসভার বোর্ড গঠন করে বামেরা। যদিও একবছর পর কংগ্রেসের ছয় এবং বামেদের চার কাউন্সিলারকে দলে টেনে বোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল।
জেলা বামফ্রন্ট সূত্রে খবর, এবার আসন সমঝোতার ফর্মুলা হিসেবে ঠিক হয়েছে গতবার বামেরা আটটি ও কংগ্রেস তাদের জেতা ছ’টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে। তৃণমূলের জেতা বাকি ছ’টি ওয়ার্ডে বামেরা চারটি এবং কংগ্রেস পাঁচটিতে ভাগাভাগি করে প্রার্থী দেবে। কিন্তু বাধ সেধেছে ফরওয়ার্ড ব্লক।
ফরওয়ার্ড ব্লক গতবারও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়ে হেরেছিল। গতবার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া পুরসভার আর কোনও ওয়ার্ডে ফরওয়ার্ড ব্লকের কার্যত কোনও অস্তিত্বই নেই। সেজন্য ফরওয়ার্ড ব্লক এবারও ৯ নম্বর ওয়ার্ডটিতে প্রার্থী দিতে চায়। যেহেতু কংগ্রেস গতবার ৯ নম্বরে জিতেছিল সেজন্য তারা ওই ওয়ার্ডটি এবারও ছাড়তে রাজি নয়। আর এতেই বাম-কংগ্রেস দুই শিবিরের আসন সমঝোতার আলোচনা মাঝপথে থমকে আছে।
শুধু তাই নয়, গতবার ৮ নম্বর ওয়ার্ডটিতে সিপিআইয়ের সুভাষ করচৌধুরী জিতলেও সংরক্ষণের গেড়োয় এবার তিনি ওই ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। তাই ৮ নম্বরে নিজের কোনও অনুগামীকে দাঁড় করিয়ে সুভাষবাবু বাড়তি অন্য একটি ওয়ার্ডে দাঁড়াতে চাইছেন। জানা গিয়েছে, ফব ও সিপিআইয়ের এই দাবিতেই দুই শিবিরের মধ্যে আলোচনা থমকে আছে। যদিও বাম ও কংগ্রেস দুই শিবিরই এই সমস্যার কথা উড়িয়ে দিয়েছে।