বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
দিদিকে বলোর টোল ফ্রি নম্বরে বাসিন্দারা এদিন অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পেয়েছিলাম। কিন্তু রেল পুলিস আমাদের ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিও তখন আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমরা এখন অসহায়। প্রবল সমস্যায় পড়েছি। আমাদের ঘরের বিকল্প ব্যবস্থা করে দিন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা তথা ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তা পরী ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে পাওয়া ঘর রেলের পুলিসরা এসে ভেঙে দিয়েছে। কোনওমতে সেই আধভাঙা ঘরেই মাথা গুজে দিন কাটছে। এলাকাবাসীর একজনের ফোন থেকে আমরা দিদিকে বলোতে ফোন করে সমস্যার কথা জানিয়েছি। দেখা যাক কোনও সুরাহা হয় কি না।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদুলী দাস বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে মমতা দিদির কাছে কমপ্লেন করলাম। বললাম, আমাদের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। আমরা কোথায় যাব, কি করে থাকব, কিছুই বুঝতে পারছি না। আপনি যদি কোনও ব্যবস্থা করেন, তাহলে সবার উপকার হয় ।
বিষয়ে পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি হারেজ আলি বলেন, রেলের জায়গায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাওয়া নিয়ে আমি পুরোপুরি অন্ধকারে। একবার ঘর তৈরি হওয়ার পরেও সেই ঘর ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা উদ্বেগজনক। আগেই যদি জমির বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারপর তাদের প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হতো, তাহলে গরীব পরিবারগুলির হয়রানি হতো না। এটা আমার কাছে খুবই দুঃখজনক বিষয়। আমি চাইব, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ব্লক প্রশাসন ওই দুর্গত পরিবারদের বিকল্প জমি দিয়ে সেখানে বাড়ি তৈরীর উদ্যোগ নিক।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, নলডুবিতে ঘর তৈরি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে, সেটা আমাদের নজরে রয়েছে। তবে বাসিন্দারা যদি দিদিকে বলোতে ফোন করে থাকেন তাহলে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাব। কেননা, দিদির প্রতি আস্থা রয়েছে বলেই তো তাঁরা তাঁদের সমস্যার কথা সেখানে বলেছেন ।
পুরাতন মালদহ ব্লকের নলডুবি গ্রামে রেল লাইনের ধারে এলাকার বাসিন্দারা পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পেয়েছিলেন। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিকভাবে রেলের জমিতে ওই ঘরগুলি বাসিন্দাদের পাইয়ে দিয়েছিল। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রেলের জমিতে একাধিক ঘর তৈরী করা হয়েছিল। উপভোক্তারা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পেয়ে ঘর তৈরি করেছিলেন। লক্ষ লক্ষ টাকার হাতবদল হয়। কিন্তু তারপর রেল টের পেয়ে সেই ঘরগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া সরকারি টাকা জলে চলে গিয়েছে।
ভাঙা বাড়ি নিয়ে প্রবল শীতের মধ্যে সকলে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। এদিন তাই দুর্গত পরিবারদের একাংশ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে দিদিকে বলোর টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে তাঁদের দুর্দশার কথা জানান।