শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
শিশা জুনিয়ার হাই স্কুলের সম্পাদক পদের পাশাপাশি মিড ডে মিল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বংশীহারি চক্রের স্কুল পরিদর্শক মকসেদ আলম। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বংশীহারি চক্রের স্কুল পরিদর্শক মিড ডে মিলের দায়িত্বভার নিজের ঘাড় থেকে নামানোর জন্য স্কুল শিক্ষকদের সেই দায়িত্ব নিতে বলেন। সরকারি নির্দেশিকা ছাড়া শিক্ষকরা মিড ডে মিলের দায়িত্ব নিতে চাননি। তাই দু’পক্ষের টালবাহানায় বন্ধ হয়ে যায় মিড ডে মিল।
বংশীহারি চক্রের স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক ) মকসেদ আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এখন ব্যস্ত রয়েছি।
ওই স্কুলের সহ শিক্ষক দীপঙ্কর দত্ত বলেন, আমাদের স্কুলে দু’মাস ধরে মিড ডে মিল বন্ধ শুধুমাত্র বংশীহারি চক্রের স্কুল পরিদর্শকের(প্রাথমিক) জন্য। ব্লক থেকে জেলাতে আমরা মিড ডে মিল বন্ধ থাকার কথা জানালেও কোনও সাহায্য পাইনি। শিক্ষা দপ্তরের একজন পরিদর্শক কী করে মিড ডে মিল বন্ধ রাখেন দিনের পর দিন? পদাধিকার বলে ব্লকের সমস্ত জুনিয়ার হাই স্কুলের সম্পাদক হলেন স্কুল পরিদর্শক এবং তিনিই মিড ডে মিল অপারেটর। তিনি আমাদের সেই দায়িত্ব নিতে বলেন। আমরা সরকারি নির্দেশিকা ছাড়া দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছি। সব্জির দোকানে গত দু’মাসের বিল বাকি রেখে দিয়েছেন। সেই টাকা শোধ করছেন না। আমাদের, শিক্ষকদের উপর চাপ দিচ্ছেন পাওনাদারেরা। আমাদের দাবি, সরকারি নির্দেশিকা দেখালে তবেই আমরা মিড ডে মিল পরিচালনার দায়িত্ব নেব।
জেলার ডিআই (প্রাথমিক) মৃণালকান্তি রায়সিংহ বলেন, শিশা জুনিয়ার হাই স্কুলের মিড ডে মিলের সমস্যা মিটে গিয়েছে। আমি বংশীহারি চক্রের স্কুল পরিদর্শককে (প্রাথমিক) নির্দেশ দিয়েছি মিড ডে মিল পরিষেবা চালু করতে। সাময়িক জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তা কেটে গিয়েছে। এখন নিয়মিত মিড ডে মিল চলবে।
স্কুলের ছাত্রী সোনালী মাহাতো বলেন, দু’মাস ধরে আমাদের স্কুলে মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। আমাদের দুপুরের খাওয়া বন্ধ। দুপুরের দিকে খিদে পেলে বাইরে থেকে টিফিন কিনে খেতে হয়। আমি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। স্কুল ছুটি হলে তবেই বাড়িতে গিয়ে চারটার সময় ভাত খাই।
বংশীহারি ব্লকের শিশা জুনিয়ার স্কুলে প্রায় ১৫০ জন পড়ুয়া রয়েছে। পুজোর পর থেকে বন্ধ হয়ে পড়েছে পড়ুয়াদের দুপুরের খাবার। এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।