সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
তৃণমূলী প্রধান অমলবাবু বলেন, আমাদের ভাঐরথানা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬ জন সদস্য রয়েছেন। সমস্ত সদস্যই তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। এখনও পর্যন্ত এখানে কেউ দলবদল করেননি। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এলাকার উন্নয়ন করতে বিজেপির লোকজন বাধা দিচ্ছে। আমরা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের কাজের একটি রূপরেখা তৈরির জন্য এদিন মিটিং ডেকেছিলাম। বিজেপির লোকজন বাধা দিতে পারে ভেবে আমাদের পাঁচজন সদস্য বিডিও অফিস থেকে সোজা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এদিন বিজেপির লোকজন আমাদের সদস্যদের বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত হয়েছিল। আমাদের কোনও সদস্যকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি। ফলে মিটিং বাতিল করতে হয়।
শীতলকুচির তৃণমূল নেতা সাহের আলি মিঁয়া বলেন, ভাঐরথানায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রধানের ডাকা বোর্ড মিটিংয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আসতে দেয়নি। আমারা সঠিক সময়ে এসর জবাব দেব।
বোর্ড মিটিংয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের যাওয়াতে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি, এমনটাই দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, ভাঐরথানায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। প্রধান নিজেই উপ প্রধানের কাজে খুশি নন। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে বনিবনা নেই। সেই কারণেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা বোর্ড মিটিংয়ে যাননি। আমাদের নামে অযথা এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময়ে শীতলকুচির ভাঐরথানা গ্রাম পঞ্চায়েত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্যকে মারধর, একাধিক বাজারে লুটপাট, দোকানে ভাঙচুর, মোটর বাইক ছিনতাই করার মতো অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি ছিল, বিজেপির লোকজন এলাকা অশান্ত করছে। বেশকিছু দিন রাস্তায় গাছ ফেলে গ্রামে পুলিসকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের বাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, লুটপাট করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও একসময়ে উঠেছিল। বিক্ষিপ্ত বিভিন্ন ঘটনার পর শুধুমাত্র প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গেলেও পঞ্চায়েত সদস্যরা কেউই অফিসে যাননি। পুজো শেষ হওয়ায় এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার জন্য এদিন প্রধান অমল বর্মন বোর্ড মিটিং ডাকেন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে বিজেপির লোকজন গ্রাম পাঞ্চায়েত সদস্যদের বাড়ি থেকেই বের হতে দেয়নি। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে যাতে কোনও ঝামেলা না হয় সেজন্য এদিন শীতলকুচি থানার পুলিস সেখানে মোতায়েন ছিল।