কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
দিনহাটা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক উৎপেলেন্দু রায় বলেন, লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর আমরা ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে ছিলাম পঞ্চায়েত ভোটের মতো আবার এলাকায় গণ্ডগোল শুরু হয় কিনা। তবে পুলিস যেভাবে বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার করেছে আর স্থানীয় দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করেছে তাতে এখন পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। শান্তিতে ব্যবসা বাণিজ্য হচ্ছে। দিনহাটার সাহিত্যিক আমিনুর রাহমান বলেন, এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিরাপদে ঘোরাঘুরি করছে। তবে ভোটের হাওয়া এখনও জোরদার হয়নি। এখনও ঠিকমতো প্রচার জমে উঠেনি। কোচবিহার জেলার পুলিস সুপার অভিষেক গুপ্তা বলেন, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে পুলিসি অভিযান জারি রয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলে বারবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে দিনহাটা। প্রচার সহ বিরোধীদের মনোনয়ন জমা না দেওয়ার অভিযোগ বারবার উঠে আসে। শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে খুন, জখম সহ সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। সন্ধ্যা নামতেই গ্রামগঞ্জে বোমাগুলির আওয়াজে থাকা দায় হয়ে পড়ত। এলাকা দখলে দুষ্কৃতীদের লড়াইয়ে ব্যবসা বাণিজ্য লাটে উঠে। তবে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পরে সেই উত্তাপ আর নেই। শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল যেমন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে তেমনি বিরোধীরাও গ্রামাঞ্চলে প্রচার করছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, লাগাতার পুলিসি অভিযানে দিনহাটায় প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০টি দাবিদারহীন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে ধরে দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে অস্ত্র হাতে ঘুরতে দেখা গিয়েছে এমন ৫০ জনের নামের তালিকা তৈরি করে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় অস্ত্র সহ তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আরও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গ্রামবাসীদের নিয়ে দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কমপক্ষে তিন জন করে সক্রিয় দুষ্কৃতীকে পুলিস চিহ্নিত করেছে। ভেটাগুড়ি, গীতালদহ, পুঁটিমারি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।