কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
করোনার নতুন স্টেইনের প্রভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের হাসপাতালগুলির উপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জনসন। জাতির উদ্দেশে ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই ব্রিটেন একজোট হয়ে লড়াই করছে। এখন ভাইরাসের নতুন স্টেইন দ্রতগতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের ও হতাশার। ফলে, আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাদের আরও কঠিন লড়াইয়ের মোকাবিলা করতে হবে। জনসন আরও বলেন, হাসপাতালগুলি ইতিমধ্যেই খুব চাপের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে সেই চাপ আরও বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই ফের দেশজুড়ে কড়া লকডাউনের পথে হাঁটতে হচ্ছে। দয়া করে সবাই বাড়িতেই থাকুন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরবেন না। আশা করি, করোনার বিরুদ্ধে এটাই হবে আমাদের চূড়ান্ত ও শেষ লড়াই। চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের পরামর্শ অনুযায়ীই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে, নয়া লকডাউনের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মই বলবৎ থাকবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। যদিও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, ওষুধ ও করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। শরীরচর্চার জন্যও বাড়ি থেকে বেরনো যাবে। অফিসের কাজ বাড়িতে বসেই করতে হবে। এই সময়ে ব্রিটেনে টিকাকরণের কাজ জারি থাকবে। আগেই লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিল স্কটল্যান্ড। এবার ব্রিটেনেও সেই পথে হাঁটতে বাধ্য হল। ওয়েলস ও নর্থ আয়ারল্যান্ডেও লকডাউন জারি হয়েছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হারে ইংল্যান্ড ছিল তৃতীয় স্থানে। যা কি না গত এপ্রিল মাসের থেকেও বেশি। ২৯ ডিসেম্বর সমগ্র ব্রিটেনে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে, লকডাউনের ফলে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। রিটেল, হোটেল এবং ট্যুরিজমের মতো সেক্টরকে সাহায্য করতে ৯ হাজার পাউন্ড আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশজোড়া লকডাউনের জন্য মোট ৪০০ কোটি পাউন্ড আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।