কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
গত বছর মার্চে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু, খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রথমবার অবতরণ করতে পারেনি বিমানটি। দ্বিতীয়বার চেষ্টা করার সময়ই বিমানটি রানওয়ের উপর মুখ থুবড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। মোট ৭১ জন যাত্রীর মধ্যে ৫১ জনেরই মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে নেপাল সরকারের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যতম সদস্য বুদ্ধিসাগর লিমাছানে বলেন, ‘পাইলট ভেবেছিলেন তিনি বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে পারবেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি।’
বিমানে থাকা ভয়েস রেকর্ডার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে তৈরি ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অসামরিক বিমান পরিবহণের একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন বছর বাহান্নর ওই পাইলট। ওইদিন চলন্ত বিমানের ককপিটে বসেই ধুমপান করছিলেন তিনি। আপৎকালীন পরিস্থিতির সময়ও তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বিমানের সহ চালক এক মহিলা পাইলট অনুপস্থিত ছিলেন। তা নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন ক্যাপ্টেন। রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, চালকের গাফিলতিতেই ঘটেছে ঘটনাটি। বিমানটি যে নির্ধারিত যাত্রাপথ থেকে সরে গিয়েছে, তা বুঝতে পারেননি তিনি। রানওয়ে খুঁজে না পেয়ে চালক উত্তর দিকের পার্বত্য এলাকায় খুব নিচু দিয়ে বিমান ওড়াচ্ছিলেন। পরে রানওয়ে দেখতে পেলেও বিমানটিকে সেই রানওয়ে বরাবর নিয়ে আসতে পারেননি তিনি। অবতরণের পরই সেটি পিছলে পাশের ঘাস জমিতে চলে যায়। এরপর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বেশিরভাগ যাত্রীরই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
পাহাড় ঘেরা কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করানোটা যথেষ্ট কঠিন। হিসেবে সামান্য ভুল হলেই বড় বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা থাকে। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থার একটি বিমান অবতরণের সময় পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। মৃত্যু হয় বিমানের ভিতরে থাকা ১৬৭ জন যাত্রীর।