বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৩০০ কিলোমিটার। সুখোই-৩০ এমকেআই থেকে ভারত মহাসাগরের অভ্যন্তরে অনেক দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। প্রাথমিক ভাবে পাঁচটি দিয়ে এই স্কোয়াড্রনের সূচনা হয়েছে। ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮টি করা হবে বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। বায়ুসেনার এক শীর্ষকর্তার কথায়, বর্তমানে বায়ুসেনায় অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধবিমান হচ্ছে সুখোই-৩০ এমকেআই। রাফাল বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হলে বিশ্বের কাছে দেশের বায়ুসেনার গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে। এছাড়াও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এস-৪০০ বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম হল রাশিয়ার এই প্রযুক্তি। চীনই হোক বা পাকিস্তান, ভারতকে লক্ষ্য করে কোনও দেশ যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে তা অনায়াসে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই সিস্টেমে। এই রুশ মিসাইলের গতি সেকেন্ডে ৪.৮ কিলোমিটার। এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ একাধিক টার্গেটকে একসঙ্গে খুঁজে বের করে তাকে ধাওয়া করে ধ্বংস করে দিতে পারে। ক্রুজ মিসাইল, ব্যালাস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, চালকবিহীন যান-যাই আসুক এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের চোখ এড়িয়ে কেউ ঢুকতে পারবে না। এই ব্যবস্থার কার্যকর থাকে ৪০০ কিলোমিটার পরিধি বরাবর। কিন্তু ৬০০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুপক্ষের অস্ত্রকে এই ব্যবস্থা চিহ্নিত করতে পারে। একসঙ্গে ৩০০টি টার্গেট চিহ্নিত করে ধাওয়া করার ক্ষমতা রয়েছে এই ব্যবস্থার। ৭২টি মিসাইল এবং ৩৬টি যুদ্ধবিমান ও চালকবিহীন বিমান একসঙ্গে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এস-৪০০-এর। ভারতের সীমায় ঢোকা মিসাইলকে মাটি থেকে ২-২৭ কিলোমিটার উচ্চতায় খতম করে দেবে এই প্রযুক্তি। এখন রাশিয়ার এই প্রতিরক্ষা মিসাইলে ১৪৩ কিলো বিস্ফোরক থাকছে। এই পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বায়ুসেনা প্রধান ভাদৌরিয়া এদিন বলেন, কৌশলগত অবস্থানের জন্য তাঞ্জাভুরে সুখোই মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে দক্ষিণ ভারতে বায়ুসেনার দ্বিতীয় যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রন তৈরি হল। তিরুবনান্তপুরম বায়ুসেনা ঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই ঘাঁটির সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও এদিন জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান। বায়ুসেনা প্রধান বলেন, সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘাঁটির লাগোয়া এলাকায় অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী চার বছরের মধ্যে পুরো সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা যায়।